নিজস্ব প্রতিনিধি, পটনা: শরিকি সম্পর্ক চুকে গিয়েছে ২৪ ঘন্টা আগে। আর তার পরেই একে অন্যকে নিশানা করে বিস্ফোরক দাবি তুলতে শুরু করেছে বিজেপি ও জেডিইউ। বুধবার দুপুরেই প্রবীণ বিজেপি নেতা সুশীল মোদি দাবি করেছিলেন, জেডিইউয়ের পক্ষ থেকে নীতীশ কুমারকে (Nitish Kumar) উপরাষ্ট্রপতি করে দিল্লি পাঠানোর জন্য সুপারিশ করেছিলেন জেডিইউ নেতারা। ওই দাবি নিয়ে যখন সরগরম পাটলিপুত্র ঠিক তখনই পাল্টা বিজেপির বিরুদ্ধে নীতীশকে রুখতে আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবের সঙ্গে পাল্টা যোগাযোগ করার অভিযোগ তুললেন জেডিইউয়ের জাতীয় সভাপতি রাজীব রঞ্জন সিং (Rajiv Ranjan ‘Lalan’ Singh)।
এদিন রাতে এক সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘নীতীশজি (Nitish Kumar) এনডিএ ছাড়ার ঘোষণা করার পরেই আসরে নেমেছিলেন বিজেপি নেতারা। যাতে তিনি মুখ্যমন্ত্রী হতে না পারেন, তার জন্য আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব (Tejashwi Yadav) সহ মহাজোটের শরিক দলগুলির নেতাদের উপরে চাপ সৃষ্টি করেছিল। বলা হয়েছিল, নীতীশকুমারকে (Nitish Kumar) সমর্থন জানানোর বিষয়টি তিন-চারদিন পিছিয়ে দিন। কিন্তু কোনও দলেই বিজেপির এজেন্ট ছিল না। ফলে ওই প্রচেষ্টা সফল হয়নি। আমাদের দলে একজন বিজেপির এজেন্ট ছিল (পড়ুন রামচন্দ্রপ্রসাদ সিং)। তাঁকে নীতীশজি হঠিয়ে দিয়েছিলেন।’
অন্যদিকে, একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের জনমত সমীক্ষায় চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। সমীক্ষা অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রী পদে নীতীশের চেয়েও তেজস্বী যাদবকে বেশি সংখ্যক বিহারবাসী দেখতে চান। যেখানে নীতীশকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান ২৪ শতাংশ মানুষ, সেখানে লালুপুত্রকে চাইছেন ৪৩ শতাংশ মানুষ। জনপ্রিয়তায় দুই নেতার ধারে-কাছে নেই বিজেপির কোনও নেতা। রাজ্যে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী হোন চাইছেন মাত্র ১৯ শতাংশ মানুষ।