নিজস্ব প্রতিনিধি: তখনও নিজের পরিণতির কথা জানতেন না গ্যাংস্টার আতিক আহমেদ। উত্তরপ্রদেশে প্রয়াগরাজে হাসপাতালে ঢোকার আগে শনিবার রাতে হাঁটতে হাঁটতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। সেই সময়কার ভিডিওতে আতিককে বলতে শোনা যায়, ‘আসল কথা হল গুড্ডু মুসলিম…’। কথা শেষ হয়নি। তার আগেই ধেয়ে আসে একের পর এক বুলেট। মুহূর্তের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। কিছু বুঝে ওঠার আগে তাঁর সঙ্গে থাকা আরেক জেলবন্দি অর্থাৎ আতিকের ভাই আশরাফও গুলিবিদ্ধ হয়ে লুটিয়ে পড়েন।
পুলিশের ঘেরাটোপে থাকাবস্থায় কীভাবে আতিককে খুন করল দুষ্কৃতীরা তা নিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি সুর চড়াচ্ছে। যোগীরাজ্যে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে বলে সরব হয়েছে একাধিক বিরোধী রাজনৈতিক দল। সেই সঙ্গে চর্চা শুরু হয়েছে, মৃত্যুর আগে আতিক আহমেদ যার নাম নিলেন, সেই গুড্ডু মুসলিমের পরিচয় কী? আত্যিকের সঙ্গে তাঁর কেমন সম্পর্ক? তাঁকে নিয়ে ঠিক কী বলতে চেয়েছিলেন তিনি আতিক? এখন এইসব প্রশ্ন হাতরাচ্ছে যোগীর পুলিশ।
উমেশ পাল হত্যাকাণ্ডে আগেই পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে আতিক-পুত্র আসাদের এবং তাঁর সঙ্গী গুলামের। যানা যাচ্ছে উমেশ পাল হত্যাকাণ্ডে গুড্ডু মুসলিম অন্যতম অভিযুক্ত। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রয়াগরাজে উমেশ পালকে খুনের সময় গুড্ডু একাধিক বোমা ছুঁড়েছিল। বোমাবাজিতে দক্ষ গুড্ডুর আরেকটি নাম রয়েছে, ‘বোমাবাজ গুড্ডু’ নামেও পরিচিত। উত্তরপ্রদেশের এলাহাবাদে জন্ম গুড্ডুর। স্কুলজীবন থেকেই বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। পরে আতিকের গ্যাংয়ে যোগ দেন তিনি।