এই মুহূর্তে




কেন নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগদান, সাংবাদিকদের সঙ্গে চা-চক্রে ব্যাখ্যা মমতার

Courtesy - Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: লোকসভা নির্বাচনের(Loksabha Election 2024) পরে দিল্লি(New Delhi) গিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। এদিন অর্থাৎ শুক্রবার তিনি দুপুরের বিমানে কলকাতা থেকে দিল্লির পথে রওয়ানা দেন। দিল্লির বঙ্গ ভবনেই উঠেছেন মমতা। এদিন সেখানেই সাংবাদিকদের সঙ্গে চা-চক্রে যোগ দেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সঙ্গে ছিল দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সেখানেই সাংবাদিকেরা মমতার কাছে জানতে চান কেন তিনি দেশে তৈরি হওয়া বিজেপি বিরোধী জোট INDIA’র শরিক দল হয়েও নীতি আয়োগের(Niti Aayog) বৈঠক বয়কট করছেন না, যেখানে ওই জোটের সব মুখ্যমন্ত্রীরাই বৈঠক বয়কট করছেন। সেই প্রশ্নের উত্তরেই মমতা সাফ জানিয়ে দেন, যা কিছু হয়েছে তা কংগ্রেসের(INC) একতরফা সিদ্ধান্তের জন্য হয়েছে। তৃণমূলকে না জানিয়ে তৃণমূলের(TMC) সঙ্গে কোনও আলোচনা না করেই বৈঠক বয়কটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এদিনের বৈঠকে নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগদান প্রসঙ্গে মমতা জানিয়েছেন, ‘নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাজেট পেশের আগেই নিয়েছিলাম। কিন্তু সবাই মিলে আলোচনা করে যদি কোনও সিদ্ধান্ত হত, তা হলে অন্য কিছু ভাবতাম। কেন্দ্রীয় সরকার বিমাতৃসুলভ আচরণ করছে। বাংলাকে তো বঞ্চনা করাই হচ্ছে, সেই সঙ্গে বাংলা ভাগেরও চক্রান্ত করা হচ্ছে। বিজেপি সাংসদেরা তা নিয়ে লাগাতার বিবৃতি দিয়ে যাচ্ছেন। এর প্রতিবাদ জানাতেই নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেব। বৈঠকে থাকব কিছু ক্ষণ। কিছু বলতে দিলে বলব। বাংলার হয়ে কথা বলব। আর না বলতে না দিলে প্রতিবাদ করে বেরিয়ে আসব।’ তৃণমূল সূত্রে অবশ্য খবর, ‘কেন্দ্রীয় বঞ্চনা’র কথা সর্বসমক্ষে তুলে ধরতে শুরু থেকেই বৈঠকে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহী ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ইন্ডিয়া শরিকদের বৈঠকে তা জানিয়েও দেওয়া হয়েছিল দলের তরফে। তাছাড়া, একমাত্র যে INDIA’র শরিক দলের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মমতাই নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন এমন নয়। সম্ভবত কালকের বৈঠকে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনও যোগ দিতে পারেন।  

কংগ্রেস আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, তাদের ৩ মুখ্যমন্ত্রী কর্নাটকের সিদ্দারামাইয়া, তেলঙ্গানার রেবন্ত রেড্ডি এবং হিমাচলের সুখবিন্দর সিংহ সুখু নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেবেন না। এর পর একে একে বৈঠকে যোগ না দেওয়ার কথা জানিয়ে দেন আপ নেতা তথা পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবত মান, ডিএমকে-র নেতা তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনও। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়ে বৈঠকে না থাকার কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন। ঝাড়খণ্ডের হেমন্ত অবশ্য তখনও প্রকাশ্যে কিছু জানাননি। তবে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল, মমতা কী সিদ্ধান্ত নেন, তা নিয়ে। এখন যেহেতু মমতা নীতি আয়োগের বৈঠক বয়কট না করে তাতে যোগদান করছেন, তা দেখেই সম্ভবত হেমন্তও মমতার দেখানো পথেই হাঁটা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দেখার বিষয় আর কে কে এই বৈঠকে যোগ দেন।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবনের সাজাপ্রাপ্ত আসারাম বাপুকে ৩ মাসের অন্তর্বর্তী জামিন

স্বস্তি কুণাল কামরার, ৭ এপ্রিল পর্যন্ত গ্রেফতারি থেকে রক্ষাকবচ দিল মাদ্রাজ হাইকোর্ট

ব্রাত্যই রয়ে গেলেন উল্লাসকর-বারীনরা, সেলুলার জেলে বসবে না বাঙালি বিপ্লবীদের মূর্তি

এ কি হাল! স্কুলের মধ্যেই চুলোচুলি! শিক্ষিকা ও কর্মীর লড়াইয়ে যোগ দিল ছাত্রও

সুশান্তের পর দিশা সালিয়ানের মৃত্যু মামলা বন্ধ করল সিবিআই

নববর্ষের আগেই সুখবর কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের, মহার্ঘ ভাতা বাড়ল ২ শতাংশ

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর