নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: যমুনার জলে ভাসছে রাজধানী দিল্লি। শুক্রবার সকালে জলের নিচে চলে গিয়েছে রাজঘাট। এমনকি দেশের শীর্ষ আদালত চত্বরেও ঢুকে পড়েছে জল। ফলে সুপ্রিম কোর্টের স্বাভাবিক কাজকর্ম বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। গোটা রাজধানীকেই যেন মনে হচ্ছে কোনও বিচ্ছিন্ন দ্বীপ। স্তব্ধ হয়ে পড়েছে জনজীবন। কাজকর্ম কার্যত শিঁকেয় উঠেছে। কবে জল যন্ত্রণা থেকে মুক্তি মিলবে সে বিষয়ে প্রশাসনের তরফে কোনও আশ্বাস দেওয়া হয়নি।
বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে যমুনার জলস্তর না বাড়লে এদিন সকালে ফের জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। সকাল ছয়টায় যমুনায় জলের স্তর ছিল ২০৮. ৬৬ মিটার। আর সেই জলে নতুন করে প্লাবিত হয়েছে আরও একাধিক এলাকা। অধিকাংশ রাস্তাঘাটই জলের নিচে। কোথাও এক হাঁটু জল তো, কোথাও এক কোমর। ইতিমধ্যেই আগামী রবিবার পর্যন্ত স্কুল-কলেজ-সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত নয়, এমন সরকারি অফিস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। জরুরি প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে বেরোতে গিয়ে চরম বিপাকে পড়ছেন আমজনতা।
জলস্তর যেমন বাড়ছে, তেমনই দেখা দিয়েছে পানীয জলের সঙ্কট। দুর্ঘটনা রুখতে কোথাও কোথাও বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। ফলে এক নারকীয় পরিস্থিতির মুখোমুখি দিল্লির বাসিন্দারা। কেন্দ্রীয় জলশক্তি কমিশনের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, দুপুর একটার মধ্যে যমুনার জলস্তর সামান্য হ্রাস পেয়েছে ২০৮.৩০ মিটার হতে পারে। জলবন্দি মানুষকে উদ্ধার করতে এবং তাদের কাছে পানীয় জল ও খাবার পৌঁছে দিতে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা চাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।