নিজস্ব প্রতিনিধি: হাতে মাত্র ১৪ দিন। পুজোর কাউন্ট ডাউন শুরু। পুজোর চারটি দিন সবকিছু ভুলে আনন্দে মেতে থাকেন প্রতিটি বাঙালি। এ সময় বাড়িতে মোটামুটি খাওয়া দাওয়া বন্ধ। তবে অনেক গেরস্ত বাড়িতেই নিরামিষ খাওয়ার চল রয়েছে। কিন্তু পুজোর চারদিন হরেক রকমের তিনবেলা নিরামিষ পদ রান্নার কথা ভাবতে ভাবতেই নাজেহাল অবস্থা হতে হয়। তবে অষ্টমীতে অঞ্জলিতে লুচি, ছোলার ডাল মাস্ট। সঙ্গে বেগুন ভাজাও চাই। কিন্তু সাবেকি খাবারও চেখে দেখুন, বেগুন ভাজার বদলে রেঁধে ফেলতে পারেন ঠাকুরবাড়ির বিখ্যাত পদ বেগুনের কোর্মা। রইল রেসিপি।
উপকরণ
বেগুন: ৩টি, টক দই: ২ কাপ, টোম্যাটো কুচি: ১ কাপ, নুন: স্বাদ অনুযায়ী, চিনি: ১ টেবিল চামচ, লঙ্কা গুঁড়ো: ১ চা চামচ, গোটা গরম মশলা: ১ টেবিল চামচ, তোজপাতা: ১টি, শাহ জিরে গুঁড়ো: ১ চা চামচ, হলুদ গুঁড়ো: আধ চা চামচ, আদা বাটা: আধ চা চামচ, জয়িত্রী: এক চিমটে, হিং: এক চিমটে, ঘি: ১ টেবিল চামচ, সর্ষের তেল: আধ কাপ।
প্রণালী
প্রথমে কড়াইতে সর্ষের তেল গরম করে তার মধ্যে সামান্য নুন এবং এক চিমটে হলুদ দিয়ে লম্বা করে কেটে রাখা বেগুন ভেজে ফেলুন। এরপর বেগুন তুলে নিন। এরপর ছোট একটি পাত্রে সামান্য হিং জল দিয়ে গুলে রাখুন।এরপর পাথরের হামান দিস্তে কিংবা শিলে গোটা গরম মশলা হালকা করে পিষে নিন। এরপর বেগুন ভাজার পর কড়াইতে যে সর্ষের তেল রয়েছে, তার মধ্যেই ফোড়ন হিসাবে দিয়ে দিন তেজপাতা এবং পিষে রাখা গরম মশলা। এরপর মশলা গুলির হালকা রং ধরলেই হিঙের মিশ্রণ দিয়ে দিন।এর পর টোম্যাটো কুচি, সব গুঁড়ো মশলা এবং আদা বাটা দিয়ে ভাল করে নাড়িয়ে মশলা থেকে তেল ছাড়তে শুরু করলে দই ফেটিয়ে কড়াইতে দিয়ে দিন। এরপর দই থেকে তেল ছেড়ে এলে কড়াইতে দিয়ে দিন নুন এবং চিনি। ফুটে উঠলে এর মধ্যে আগে থেকে ভেজে রাখা বেগুনগুলি দিয়ে মিনিট দুয়েকের মধ্যেই ঝোল ঘন করে নামানোর আগে উপর থেকে ঘি, জয়িত্রী এবং শাহ্ জিরে গুঁড়ো ছড়িয়ে দিন।