সুস্মিতা ঘোষ: আর মাত্র কুড়ি দিনও বাকি নেই, বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবকে বরণ করে নিতে একেবারে প্রস্তুত সবাই। প্রায় দু বছর পর মূল স্রোতে ফিরছে দুর্গা পুজো। ইতিমধ্যেই তিলোত্তমা সেজে উঠেছে আলোয় আলোয়। রাশিয়া – ইউক্রেন যুদ্ধ থেকে শুরু করে টুইন টাওয়ার সবটাই এবার দুর্গা প্যান্ডেলের মূল থিম। আর পুজো মানেই নতুন নতুন জামা-কাপড় কেনার ধুম। যা পুজোর পাঁচমাস আগে থেকেই শুরু হয়ে যায়। আমজনতা বলুন বা, বেঙ্গলি না সেলিব্রিটি সবারই বছরের এই চারটি দিন ঘিরে থাকে নানান পরিকল্পনা। ষষ্ঠীতে কী ভাবে সাজবেন, সপ্তমীতে ওয়েস্টার্নের জমজমাট, অষ্টমীতে সাবেকি আনায় ভরপুর, নবমীতে ঐতিহ্য এবং পশ্চিমী পোশাকের মিশেল, আর দশমীতে লাল-সাদায় মুড়ে মাকে কান্নার সুরে বিসর্জন। সঙ্গে বলা ‘আবার এসো মা’। সুতরাং এই চারটে দিন বাঙালীর দিন। তবে ২ বছর করোনা মরসুমের দরুন তেমন একটা পোশাক বলুন বা সাজের তেমন বাহার চোখে পড়েনি। সে আমজনতাই বলুন বা সেলিব্রিটি। এই বছর যেহেতু দেশ অনেকটাই সুস্থ, তাই আমজনতার পাশাপাশি সেলিব্রিটিরাও একেবারে দুর্দান্তভাবে পুজোর প্ল্যান সেরেছেন।
সেলিব্রিটিদের পুজোর পরিকল্পনা জানতে আমরা ‘এই মুহূর্তে’ পোর্টালের তরফ থেকে প্রথমেই চলে গিয়েছিলাম অভিনেত্রী স্বস্তিকা দত্তের (SWASTIKA DUTTA) কাছে। ফোনালাপে তিনি আমাদের প্রতিনিধিকে জানালেন পুজোর পরিকল্পনা। টলিউডের মিষ্টি অভিনেত্রী স্বস্তিকা, খুব অল্পদিনেই টলিউডের নিজেকে পাকাপাকি ভাবে প্রতিষ্ঠিত করে নিয়েছেন নায়িকা। যেমন তাঁর মিষ্টি ব্যবহার, তেমনি তাঁর ব্যাক্তিত্ব।সঙ্গে তো আছেই তুখোড় অভিনয়।টলিউডের ছোটপর্দা থেকে তাঁর উত্থান হলেও, ইতিমধ্যেই ওয়েবসিরিজ এবং একাধিক চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন তিনি। টানটান ফিগার, মিষ্টি মুখশ্রী, আর দুর্দান্ত অভিনয়ের দক্ষতা সবটাই তাঁর পরিচিতি দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। পুজোতে তাঁর কী পরিকল্পনা জানতে আমরা তাঁকে একাধিক প্রশ্ন করেছিলাম! একে একে জেনে নিন।
১. পুজোর পরিকল্পনা
“পুজোর কলকাতাতেই থাকার পরিকল্পনা। পুজোর দিনগুলির পরিকল্পনা বলতে দু একটা কাজ রয়েছে, সেগুলি সেরে অতিথিদের বাড়ি যাব টুকটাক নিমন্ত্রণে।”
২. পুজোর শপিং কমপ্লিট?
অভিনেত্রীর কথায়, “পুজোর শপিং বলে কিছু হয় না। সারাবছর আমি মোটামুটি কেনাকাটি করি, যখন যা দরকার পড়ে তা কিনে নি। তবে পুজোর জন্যে স্পেশাল যে শপিং সেটা তেমন কিছু করিনা। শপিং বলতে দু-তিনটি শাড়ী কেন হয়েছে।”
৩. ষষ্ঠী থেকে নবমী শাড়ী পরার প্ল্যান?
“নানা তা নয়, কম বেশি সবরকম পোশাকই পরি। তবে কম বেশি যেহেতু কাজ থাকে সেহেতু আমি ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে যেতেই ভালোবাসি সেখানে।”
৪. ছোটবেলার মত একেকদিন একেকটা পোশাক পরব, বা সকালে একটা রাতে আরেকটা তেমন কিছু ছোটবেলার স্মৃতি তুলে ধরা হয়?
‘না একদমই নয়, বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ছোটবেলার আজব-কায়দাও পাল্টে যায়।’
৫. অষ্টমীর দিন পরিকল্পনা কী?
“অষ্টমীর দিন স্পেশাল কিছুই নয় আমার কাছে। অঞ্জলি আমি দিই না।”
৬. দশমীর দিন কোনও প্ল্যান?
“না তেমন কিছুই প্ল্যান নেই।”