নিজস্ব প্রতিনিধি: দুর্গাপুজো বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব। তাই এই উৎসব ঘিরে অনেকদিন আগে থেকেই শুরু হয় লাগাতার পরিকল্পনা। এই চারটে দিন কী ভাবে কাটাবেন সেটারই চলে লাগামছাড়া জল্পনা-কল্পনা। বছরের এই চারটি দিনের জন্যেই মানুষ সারা বছর কত কিছুই না পরিকল্পনা করে থাকেন। তবে এই কটা দিন, সব দুঃখ-কষ্ট ভুলে বাঙালী মেতে ওঠে খুশির জোয়ারে। পরিবারের যে যেখানেই থাকুক না কেন, এই কটা দিন পরিবারের সঙ্গে সকলেই একত্রিত হয়।
বাড়ির ছেলেও বাড়ি ফিরে আসেন আবার মেয়েরাও বাপের বাড়িতে আসেন, যেহেতু মা দুর্গাও শিবের বাড়ি ছেড়ে মর্ত্যে আসেন বাপের বাড়িতে। তবে এমন অনেক বাঙালি আছেন, যাঁরা পুজোর দিনগুলিতে বহু বছর বাড়ি ফেরেননি। বিদেশে প্রবাসী বাঙালিদের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। তাই বাড়ির জন্যে যাতে মন খারাপ না হয়। তাই পুজোর সময় শহর কলকাতা যেমন সেজে ওঠে, ঠিক তেমনই বিদেশের বহু জায়গাতেও দুর্গাপুজো হয় একেবারে রমরমাভাবে৷ বহু প্রবাসী বাঙালি দেশের বাইরে থেকেও বিদেশের মাটিতে দুর্গাপুজো করেন৷ আর তাঁর পুজোতেই যোগ দেন বাকি প্রবাসী বাঙালি। এই নিয়েই মেতে ওঠে তখন বিদেশ। যদিও বাংলার মত বিদেশে চার-পাঁচ দিন ধরে পুজো চলে না। দুই দিনেই সেখানে পুজোর সমাপ্তি হয়।
যেমন ইউরোপের ডেনমার্কের বেঙ্গলি কালচারাল অ্যাসোসিয়োশন, প্রতি বছর ধুমধাম করেই ডেনমার্কের মাটিতে দুর্গা পুজো করে তাঁরা৷ এই সংগঠনের নিজস্ব ম্যাগাজিনও আছে৷ এমনকি পুজোর ক’টা দিন আনন্দ ,সাজগোজ এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মেতে ওঠেন ডেনমার্কের এই সংগঠন৷ দশমীর দিন প্রতীমা বিসর্জনের সময় কলকাতার মত সেখানেও হয় সিঁদুর খেলা৷ ঠিক দেশি পুজোর কায়দায় চাঁদা তুলে এই পুজোর আয়োজন করা হয়৷ একইভাবে আমেরিকার দুর্গাবাড়িতেও ধুমধাম করে দুর্গা পুজোর আয়োজন করা হয়৷ পুজোর চারদিন আমেরিকানিবাসী বাঙালিরা একসঙ্গে পুজোর আয়োজন করেন৷ গত ২২ বছর ধরে এইভাবেই বিদেশের মাটিতে পুজো করে আসছেন। এছাড়া অস্ট্রেলিয়াতে ভারতসেবাশ্রম সংঘে প্রতিবছর নিয়ম মেনে দুর্গাপুজো করা হয়৷ আর এই পুজোর ঠাকুর আসে কলকাতা থেকেই।