নিজস্ব প্রতিনিধি: করোনাকাল। আর তাই প্যাণ্ডেল, আলোকসজ্জা, মণ্ডপসজ্জা, ভোগ খাওয়ানো থেকে বিসর্জন সমস্ত কিছু থেকেই বড় মাপের খরচ বাদ দিতে হয়েছে। কিন্তু রামপুরহাট হাটতলা সর্বজনীন দুর্গোৎসবের আকর্ষণ প্রতিমা। সেই বাজেটে অবশ্য কাটছাট হয়নি তেমন। তবে প্রতিবছরের মতো মাটির সাজের কারুকার্য এবার আর দেখা যাবে না। পরিবর্তে মাটির প্রতিমার ওপর পোশাক, অলঙ্কারের কাজ হচ্ছে সুতো ওপরে। প্রতিমা গড়ে তুলছেন বর্ধমানের পাটুলির শিল্পী শিবনাথ হাজরা।
রামপুরহাট পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের হাটতলার এই পুজো শহরের কেন্দ্র বিন্দুতে হওয়ার এই পুজো ঘিরে শহরবাসীর উন্মাদনা থাকে তুঙ্গে। প্রতিবছরই বিসর্জন হয় চোখ ধাঁধানো। কিন্তু গতবছর কোভিড পরিস্থিতিতে সেই জাঁকজমকপূর্ণ বিসর্জন হয়নি। তবে উন্মাদনা ছিল। এবছরও সরকারি নির্দেশিকার দিকে চেয়ে রয়েছেন পুজো উদ্যোক্তারা। মণ্ডপ থিমের না হলেও এবার পুজো উপলক্ষ্যে তৈরি করা হচ্ছে থিম সঙ। যে গানটি রিলিজ করা হবে মহালয়ার দিন। গানটি গেয়েছেন জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো খ্যাত ঋষি চক্রবর্তী।
পুজো কমিটির সম্পাদক প্রশান্ত রায় জানান, মণ্ডপে স্যানিটাইজ়ার টানেল বসানো থেকে থার্মাল গান ব্যবহার— সবই থাকছে। স্যানিটাইজ়ার দিয়ে হাত ধুয়ে মণ্ডপে সীমিত সংখ্যক দর্শনার্থীদের প্রবেশ করিয়ে দূরত্ব বিধি মেনে চলার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মাস্ক ছাড়া দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে। তবে কাউকে ফিরে যেতে হবে না। পুজো মণ্ডপেই থাকবে মাস্কের ব্যবস্থা। তিনি জানালেন অন্যান্যবছর এই পুজোর বাজে থাকে প্রায় ১৩ থেকে ১৪ লক্ষ টাকা। কিন্তু এবার সেটাই ৭ লক্ষ টাকা ধার্য করা হয়েছে। তবে পুজোকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে এবারও। ইতিমধ্যেই একরটি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও পুজোর প্রতিদিন দুঃস্থদের বস্ত্র বিতরণ চলবে।