এই মুহূর্তে




ঘটি-বাঙালের মিশ্রণ, এই বনেদি পুজোয় বাড়ির পান্তা খেয়ে বিসর্জনের রীতি আজও রয়েছে




নিজস্ব প্রতিনিধি : দুর্গা পুজোর আজ হল চতুর্থী। পুজো পুজো গন্ধে ভরে উঠেছে গোটা পাড়া। কেননা প্রত্যেক বছর বাঙালিরা অপেক্ষায় থাকে কখন আসবে উমা…। ঠিক পুজো এলেই বনেদি বাড়ির দুর্গা পুজোর কথা ওঠে। নানান জায়গা থেকে  ভক্তরা এসে ভিড় জমায় বনেদি বাড়ির পুজোয়। বনেদি বাড়ির পুজো মানেই কিন্তু ঐতিহ্য।এইসব বনেদি বাড়ির দুর্গা পুজোয় শুধুমাত্র দেবীর উপাসনা হয়না, বরং সেইসব দুর্গা পুজোর সাথে জড়িয়ে আছে শত বছরের প্রথা, পারিবারিক ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির অটুট বন্ধন।তবে এটাও ঠিক সব বনেদি বাড়ির পুজো কিন্ত একরকম নয়।কোথাও বা প্রথা আলাদা,কোথাও বা দেবী দুর্গা ভিন্ন রুপে পুজিত হয়ে থাকেন।

তেমনই এক ঐতিহ্যের নিদর্শন পাওয়া যায় আগরপাড়া অঞ্চলের ইলিয়াস রোডের ছাতাপাড়া বাঁড়ুজ্জ্যে বাড়ির দুর্গা পুজোয়। এই বনেদি বাড়ির দুর্গা পুজোর শুরু হয়েছিল ১১৯৯ সালে। সেই থেকে সতেরো পুরুষ ধরে উদযাপিত হয়ে আসছে বাঁড়ুজ্জ্যে বাড়ির দুর্গা পুজো।এই বনেদি বাড়ির দুর্গা পুজোর সঙ্গে ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে। এই বাড়িতে দু্র্গা মেয়ে রুপে পুজিত হন।

আরও পড়ুন :মহাদেবের কোলে পার্বতী ! বৈষ্ণব ঘরেও দেবী পুজিত হন চামুণ্ডারূপে

তবে ছাতাপাড়া বাঁড়ুজ্জ্যে বাড়ির পুজোর মূল আকর্ষণ হল বিসর্জনে পান্তা খাওয়ার রীতি। ব্যানার্জি পরিবারের পূর্বপুরুষেরা ঢাকার হওয়ায়, এখানকার পুজোয় ঘটি ও বাঙালের মিশেল লক্ষ্য করা যায়। মা দুর্গাকে পান্তা খাওয়ানোর এই রীতি পুজোয় ঢাকার ঐতিহ্যকে মনে করিয়ে দেয়। এছাড়াও, এই বনেদি বাড়ির বিসর্জনের রীতিও বেশ আকর্ষণীয়।এই বাড়ির পুজোয় মাকে কাঁধে করে গঙ্গার ঘাট পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়, যা আজও অত্যন্ত উৎসাহ এবং শাস্ত্রীয় আচার মেনে পালন করা হয়।

এই বাড়িতে লুকিয়ে রয়েছে নৌকা-নিরঞ্জন প্রথা। অতীতে প্রতিমা নিরঞ্জন হতো গঙ্গার বুকে দুই নৌকায় বসিয়ে এবং মাকে মাঝিরা কাঁধে করে নিয়ে যেতেন বিসর্জনের স্থান পর্যন্ত। যদিও আজকের দিনে মাঝির অভাব এবং নিরাপত্তার কারণে নৌকা-নিরঞ্জন প্রথাটি বিলুপ্ত হয়েছে, তবে কাঁধে করে প্রতিমা নিয়ে যাওয়ার রীতি এখনও অবিচল। এই পুজোর চারদিন পুরুষরা শুধুমাত্র ধুতি, গেঞ্জি এবং কোমরে একটি গামছা বেঁধে থাকেন।

আরও পড়ুন : নেই গণেশ সরস্বতীরা! কেন রায় বাড়িতে ‘কুলোপতি’ নামে পুজিত হন দেবী দুর্গা ?

যদি বলির কথায় আসা যায়, তবে একসময় এই পুজোয় মহিষ বলি দেওয়ার প্রথা ছিল, পরে তা পাঁঠা বলিতে রূপান্তরিত হয়। যদিও বর্তমানে বলি প্রথা প্রায় বিলুপ্তির পথে।দশমীর দিন বেনারসি পরিহিত মেয়ে-বউরা মাকে বরণ করেন। এরপর শুরু হয় সিঁদুর খেলা।আর সিদ্ধির সরবত পান। মায়ের বিদায়ের মুহূর্ত যেন হয়ে ওঠে আবেগে ভরা। আজও ঐতিহ্যের রঙে বাঁড়ুজ্জ্যে বাড়িতে ঐতিহ্য মাখানো নিয়ম-রীতি নিষ্ঠা ভরে পালিত হয়ে আসছে।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

দশমীতে ইছামতীর তীরে জমজমাট এক দিনের বউ মেলা, তবে নিষিদ্ধ পুরুষ ক্রেতা

ফরিদপুরে একই মণ্ডপে ২৫১ দুর্গা প্রতিমা দেখতে উপচে পড়ছে ভিড়

পুজো শেষে দুপুরে জমিয়ে খান ওল-চিংড়ি: সহজ রেসিপিতে রসনা তৃপ্তি করুন ঘরেই

মুম্বইতে দুর্গার বিদায় পর্বে জমিয়ে সিঁদুর খেললেন রানি-কাজলরা

৩০০ বছর ধরে সিংহবাহিনী দেবী রূপে পুজিতা হয়ে আসছেন এই রাজবাড়িতে

পান্তা ভাত-কচু শাক খেয়ে কৈলাসে পাড়ি দেন এই বনেদি বাড়ির উমা

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর