নিজস্ব প্রতিনিধি: কাউন্টডাউন শুরু দুর্গাপুজোর। হাতে মাত্র আর চারদিন। তারপরেই মায়ের বোধন। তার আগে এদিন মহালয়ার শুভেচ্ছায় মাতল নেটদুনিয়া। প্রধানমন্ত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রী জানালেন শুভেচ্ছা। তবে কোভিড আবহে এবার দুর্গাপুজোয় সবরকম নিয়ম মেনে চলার আহ্বান করলেন তাঁরা।
মহালয়ার সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ট্যুইট করে শুভেচ্ছা জানান। তিনি লেখেন, ‘মা দুর্গার প্রতি আমাদের প্রণাম। মানুষের কল্যাণ ও পৃথিবীর মঙ্গল কামনায় দেবীর কাছে আশীর্বাদ চাই। আগামী দিনে যেন সকলে সুখী ও সুস্থ থাকুক।’ মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ট্যুইটে লেখেন, ‘বহু প্রতীক্ষিত উৎসব মরশুমের শুভ সূচনা হল মহালয়ায়। কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে পুজোর। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা জানাই। শুভ মহালয়া।’
এদিন ট্যুইট করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ও। তিনি লেখেন, ‘এই উৎসবের মরসুমে ভালোবাসা ছড়িয়ে দিতে আমরা আরও একটু পথ অতিক্রম করি। দায়িত্ব সহকারে উৎসব উদযাপন করুন। সবসময় মাস্ক পড়ুন ও সমস্ত কোভিড প্রোটোকল মেনে চলুন।’ মহালয়ার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তিনি লেখেন, ‘দেবীপক্ষের সূচনা সমস্ত অশুভের অবসান ঘটায়। মা দুর্গার আগমনে উৎসবের শুভ সূচনা হোক। শুভ মহালয়া।’
তবে এদিনও সোশ্যাল মিডিয়া শুভ মহালয়া নিয়ে অনেকের আপত্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যেহেতু পিতৃপুরুষদের স্মরণ করার দিন, তাই মহালয়াকে শুভ মানেন না অনেকে। আবার প্রতিপদ থেকেই দেবীপক্ষের সূচনা। অর্থাৎ জ্যোতির্ময়ী জগন্মতার আগমন বার্তা ধ্বনিত হয়। দেবতাকুল তাঁদের যোগনিদ্রা থেকে জেগে ওঠেন। সেই দিনটি পালনের জন্যই চণ্ডীপাঠ। হিন্দু শাস্ত্রমতে, এই দিনেই মহিষাসুর বধের দায়িত্ব গ্রহণ করেন দেবী দুর্গা। মহিষাসুরের কবল থেকে দেবগণকে উদ্ধার করার লগ্ন যেহেতু এই সময় থেকেই শুরু হয়, তাই পরমা প্রকৃতি বিশ্বজননীর আশ্রয় হল মহান আলয়, এমন মতও পোষণ করেন অনেকে। সেক্ষেত্রে তাদের যুক্তি মহালয়া কোনওমতেই অশুভ হতে পারে না। শুভ ও অশুভের দ্বন্দ্ব বা তর্কও যদিও ব্যক্তিগত প্রেক্ষিতের ওপর নির্ভর করে। তবে ‘শুভ মহলয়া’ বলা গেলেও ‘অশুভ মহালয়া’ বলা যায় না।