নিজস্ব প্রতিনিধি: একটি পোস্টার, যাকে কেন্দ্র করে অসন্তোষ দানা বেঁধেছে। পোস্টারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা করা হয়েছে। প্রশংসা করেছেন কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী মীনাক্ষী লেখি। পোস্টারে যা লেখা হয়েছে, তার মূল কথা ইউনেস্কোর এই স্বীকৃতির পিছনে অবদান একমাত্র অবদান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। তাঁর দৌলতে পশ্চিমবঙ্গের দুর্গোপুজোকে ইউনেস্কো স্বীকৃতি দিয়েছে। অযথ, এই স্বীকৃতির পিছনে যিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন, সেই কৃতী অধ্যাপক তপতী গুহঠাকুরতাকে বিন্দুমাত্র কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা হয়নি। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিশিষ্ট এই অধ্যাপিকা তাঁর অভিমান জানিয়েছেন। বলেছেন, মোদি সরকার ন্যূনতম ভদ্রতা, সৌজন্য দেখানোর প্রয়োজন বোধ করেনি। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।
সাক্ষাৎকারে ইতিহাসবিদ বলেন, সরকারের আচরণে তিনি বিন্দুমাত্র বিস্মিত নন। কারণ, মন্ত্রী বা নেতারা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এই ধরনের কাজ কারও থেকে আদায় করে নিতেই পারে। কিন্তু যেটা সব থেকে তাঁকে বিস্মিত করেছে তা হল ইউনেস্কো কলকাতার দুর্গোপুজোকে স্বীকৃতি দেওয়ার পর না প্রধানমন্ত্রী মোদি ভদ্রতা করে তাঁকে ধন্যবাদ দিয়েছেন না দিয়েছে তাঁর সংস্কৃতি মন্ত্রক। অথচ, ২০১৮ সালে এই মন্ত্রকের অধীনস্থ সংগীত নাটক অ্যাকাডেমি থেকে তাঁর সঙ্গে ওই ব্যাপারে যোগাযোগ করেছিল। মন্ত্রকের তরফ থেকে প্রস্তাব আসার পর তিনি এবং তাঁর গবেষকদল দিন-রাত কাজ করে। মন্ত্রক থেকে সামান্য একটা ধন্যবাদ আশা করা যেতেই পারে। সেটা ই-মেল করে বলা হলে তাঁকে পাল্টা মেল করে জানতে চাওয়া হয় মন্ত্রকের থেকে তাঁর আর কত টাকা পাওয়ার আছে।