নিজস্ব প্রতিনিধি: অন্যচিত্র কুমারটুলিতে। ষষ্ঠীর রাতেই সমস্ত দুর্গাপ্রতিমা মণ্ডপে মণ্ডপে রওনা করিয়ে দিয়েছেন মৃৎশিল্পীরা। শূন্য কারখানায় এবার তৈরি হবে লক্ষ্মী ও কালীপ্রতিমা। প্রতি বছরই দুর্গাপুজো শুরু হয়ে যাওয়ার পরও বেশ কয়েকটি প্রতিমা থেকে যায় কারখানাগুলিতে। কারণ সেগুলি থাকে অবিক্রিত। এবার সংখ্যাটা একেবারেই নগন্য। এর কারণ পুজো নিয়ে অনিশ্চয়তা।
মৃৎশিল্পীদের বক্তব্য, এবার পুজো নিয়ে রাজ্য সরকার কী মনোভাব নেয় সেটা দেখার পরই পুজো কমিটিগুলি প্রতিমার বায়না দিয়েছে। যদি এবারও লকডাউন বা ঠাকুর দেখায় কড়াকড়ি করতো তবে ঠাকুরের সাইজ ও চাকচিক্য কমিয়ে দিতেন অনেক পুজো কমিটি। বাজাট কাটছাঁট করেই পুজো করতেন অনেক কমিটি। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠকের পরই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন পুজো করার। এরপরই ঠাকুরের চুরান্ত বায়না হয়েছে অধিকাংশ।
এক মৃৎশিল্পীর কথায়, প্রতি বছরই কুমারটুলিতে বহু প্রতিমা অবিক্রিত থাকে। কলকাতার বাইরে থেকে অনেক পুজো কমিটিই শেষ মুহুর্তে প্রতিমা বায়না দিতে আসেন এখানে। তাই প্রতি কারিগরই কয়েকটি প্রতিমা অতিরিক্ত তৈরি করে রাখতেন আগেভাগে। কিন্তু এবার অনেকেই সেই ঝুঁকি নেয়নি। নির্দিষ্ট বায়না নিয়েই প্রতিমা গড়েছেন কুমারটুলির মৃৎশিল্পীরা। ফলে সব প্রতিমাই মণ্ডপে পৌঁছে গিয়েছে যথারীতি। মাত্র হাতেগোনা কয়েকটি রয়ে গিয়েছে। সমস্ত প্রতিমা বিক্রি হয়ে যাওয়ার পর কিন্তু হাত গুটিয়ে বসে নেই কুমারটুলি।
শূন্য কারখানায় তৈরি হচ্ছে নতুন কাঠামো। এবার যে মা লক্ষ্মীর ঘরে আসার পালা। ফলে কুমারটুলির বেশিরভাগ কারখানাতেই লক্ষ্মীপ্রতিমা গড়ার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি গত বছরের অবিক্রিত কালীপ্রতিমা ঝাড়াইবাছাই করে ফের সামনে আনা হচ্ছে। এবার সেগুলিকেই কাজে লাগাবেন মৃৎশিল্পীরা। নতুন প্রতিমাও তৈরি করবেন অবশ্য।