নিজস্ব প্রতিনিধি: বহু প্রতীক্ষিত কলকাতা পুরনিগমের নির্বাচনের ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া রবিবার সুসম্পন্ন হয়েছে। আগামিকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার রয়েছে সেই নির্বাচনের ভোট গণনা ও ফলাফল ঘোষণার পালা। সেই ভোটগণনা যাতে শান্তিপূর্ণ ভাবে হয় তার জন্য এদিন রাজ্য নির্বাচন কমিশন একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করেছে। সেই সব নির্দেশিকার মধ্যে রয়েছে গণনাকেন্দ্রের ২০০ মিটারের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারির বিষয়টিও। অর্থাৎ কলকাতা শহরের বুকে যে ১১টি গণনা কেন্দ্রে ভোট গণনা করা হবে তার ২০০ মিটারের মধ্যে কোনওরকমের জমায়েত করা যাবে না। এর পাশাপাশি প্রতিটি গণনাকেন্দ্রের দায়িত্বে একজন করে এএমআরও পদমর্যাদার আধিকারিক রাখা হচ্ছে। প্রতিটি গণনাকেন্দ্রে সিসিটিভি থাকার পাশাপাশি ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয় রাখা হচ্ছে। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছে ৩ হাজার পুলিশ। থাকছে কুইক রেসপন্স টিম, ফ্লাইয়িং স্ক্যোয়াড ও রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স। থাকছে ড্রোনের নজরদারির ব্যবস্থাও।
এর পাশাপাশি কমিশন জানিয়েছে, সকাল ৭টার মধ্যে সব প্রার্থী ও তাঁদের এজেন্টদের গণনাকেন্দ্রে চলে আসতে বলা হয়েছে। কেননা তাঁদের উপস্থিতিতেই সকাল ৭টায় স্ট্রংরুম খোলা হবে। একইসঙ্গে ওই সময়ের মধ্যেই গণনায় যুক্ত থাকবেন যে সব সরকারি কর্মী তাঁদেরকেও হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। প্রার্থী ও তাঁদের এজেন্টদের উপস্থিতিতেই স্ট্রংরুম খুলে ইভিএম মেশিন বার করে তা টেবিলে টেবিলে গণনার জন্য পৌঁছে দেওয়া হবে। যারা গণনার কাজে থাকবেন তাঁদের বলেই দেওয়া হয়েছে মোবাইল না নিয়ে আসতে। মোবাইল বা কোনওরকমের ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে গণনাকেন্দ্রের ভিতরে কাউকেই ঢুকতে দেওয়া হবে না। গণনার ভিডিওগ্রাফি অবশ্য কমিশনের তরফেই করা হবে। সংবাদমাধ্যমকে নির্দিষ্ট প্রটোকম মেনে চলতে হবে। তাই গণনাকেন্দ্রের বাইরে তাঁদের উপস্থিতি মেনে নেওয়া হলেও ভেতরে প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা থাকছে। সব থেকে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে কোভিড প্রটোকম মেনে চলার ক্ষেত্রে। সবাইকে মাস্ক, স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে বলেও কমিশন জানিয়ে দিয়েছে।