নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতাঃ মঙ্গলবার থেকে হাসপাতালে ভর্তি অভিনেত্রী অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা (Aindrila Sharma)। ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন অভিনেত্রী। তাঁর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে উদ্বিগ্ন অভিনেত্রীর আত্মীয়, বন্ধু, সহকর্মী থেকে অনুরাগীরা। এরইমধ্যে সুখবর। টানা ৬ দিন পর অবশেষে ভেন্টিলেশন থেকে বের করা হল ঐন্দ্রিলাকে। এমনকি এখনও জ্ঞ্যান না ফিরলেও পরিবারের কেউ কাছে গিয়ে ঐন্দ্রিলার হাত ধরলে পাল্টা হাত ধরার চেষ্টাও করছেন অভিনেত্রী। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে পোস্ট করে অনুরাগীদের এই খবর জানালেন ঐন্দ্রিলার ভালবাসার মানুষ অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরী (Sabyasachi Chowdhury)। ঐন্দ্রিলার চিকিৎসায় সাড়া দেওয়ার এই খবরে খুশি তাঁর পরিবার ও শুভাকাঙ্খীরা।
ভেন্টিলেশন থেকে ঐন্দ্রিলাকে বের করার খবর জানিয়ে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে একটি দীর্ঘ পোস্টে সব্যসাচী লিখেছেন, “হাসপাতালে ছয় দিন পূর্ণ হলো আজ, ঐন্দ্রিলার এখনও পুরোপুরি জ্ঞান ফেরেনি। তবে ভেন্টিলেশন থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছে, শ্বাসক্রিয়া আগের থেকে অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে, রক্তচাপও মোটামুটি স্বাভাবিক। জ্বর কমেছে”। “জীবনের এই কঠিন লড়াইয়ে ঐন্দ্রিলার সঙ্গে তিনি সবসময় রয়েছেন বলেও জানিয়েছেন অভিনেতা। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে তিনি লিখেছেন, “আমি দিনে তিনবার করে গল্প করি ঐন্দ্রিলার সাথে। গলা চিনতে পারে, হার্টরেট ১৩০-১৪০ পৌঁছে যায়, দরদর করে ঘাম হয়, হাত মুচড়িয়ে আমার হাত ধরার চেষ্টা করে। প্রথম প্রথম ভয় পেতাম, এখন বুঝি ওটাই ফিরিয়ে আনার এক্সটার্নাল স্টিমুলি”। তবে শুধু সব্যসাচী নন ঐন্দ্রিলার পাশে রয়েছেন অভিনেত্রীর পরিবার ও তাঁর বন্ধু সহকর্মীরা। অভিনেতা লিখেছেন “ওর মা যতক্ষণ থাকে, নিজের হাতে ওর ফিজিওথেরাপি করায়, যত্ন নেয়। বাবা আর দিদি ডাক্তারদের সঙ্গে আলোচনা করে। সৌরভ আর দিব্য রোজ রাতে আমার সঙ্গে হাসপাতালে থাকতে আসে”।
ঐন্দ্রিলা অসুস্থ হওয়ার পর থেকে ৬ দিনে তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে মুখ খোলেননি অভিনেতা। সোশ্যাল মিডিয়াতে শুধু জানিয়েছিলেন, “আমি সংবাদ মাধ্যমে কোনো সাক্ষাৎকার দিইনি আর দেবওনা”। তবে সোমবার রাতে ঐন্দ্রিলাকে ভেন্টিলেশন থেকে বের করার খবর জানানোর পাশপাশি অভিনেতা লিখেছেন,“আজ কিছু মানুষের বর্বরতার নমুনা দেখে লিখতে বাধ্য হলাম। ইউটিউবের কল্যাণে কয়েকটা ভুয়ো ভিডিও আর ফেক্ থাম্বনেল বানিয়ে পয়সা রোজগার করা অত্যন্ত ঘৃণ্য মানসিকতার কাজ বলে আমি মনে করি, সেটা যে ওর বাড়ির লোকের মনে কেমন প্রভাব ফেলে তা হয়তো আপনারা বুঝবেন না। আমার চোখে ওর স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটেনি, অবনতি ঘটেছে মানবিকতার”।
উল্লেখ্য শনিবারই অভিনেত্রীর ট্র্যাকিওস্টোমী করা হয়। ভেন্টিলেশন থেকে ঐন্দ্রিলাকে বের করে আনার লক্ষ্যেই তাঁর ট্র্যাকিওস্টোমী করা হয় বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। এরপর রবিবার তাঁর ভেন্টিলেশন কমিয়ে আনা হয় অবশেষে সোমবার অভিনেত্রীকে ভেন্টিলেশন থেকে বের করে আনতে সক্ষম হলেন চিকিৎসকরা।