নিজস্ব প্রতিনিধি, মুম্বইঃ নভেম্বরের শেষ সপ্তাহতেই জন্ম নিতে চলেছে রণবীর কাপুর (Ranbir kapoor) আলিয়া ভট্টের (Aliya bhatt)সন্তান এমনটাই অনুমান করেছিলেন চিকিৎসকরা। জানা গিয়েছিল সম্ভবত ২৮ শে নভেম্বর ভূমিষ্ঠ হতে পারে রণবীর আলিয়ার সন্তান (baby)। পরিবারের নতুন সদস্যকে নিয়েই জন্মদিন পালন করার কথা ছিল আলিয়ার দিদির শাহিন ভট্টের। কিন্তু রবিবার সকালেই তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় আলিয়া ভট্টকে। চিকিৎসকরা অনুমান করছেন রবিবারই সন্তানের জন্ম দিতে পারেন অভিনেত্রী।
কাপুর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে রবিবার সকালেই আলিয়া ভট্টকে মুম্বাইয়ের এইচ এন রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন হাসপাতালে ভর্তি করেন রণবীর কাপুর। সেখানেই অস্ত্র প্রচারের মাধ্যমে আলিয়ার সন্তান জন্ম নেবে। ইতিমধ্যেই মুম্বাইয়ের এইচ এন রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন হাসপাতালে চিকিৎসকরা তৈরী রয়েছেন। পাশাপাশি আলিয়া যাতে সুস্থভাবে সন্তানের জন্ম দিতে পারেন তার জন্য কোনরকম ব্যবস্থার ত্রুটি রাখতে চাইছেন না কাপুর পরিবার। আলিয়ার স্বাস্থ্যই এখন কাপুর পরিবারের কাছে একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। হাসপাতলে আলিয়ার সঙ্গে স্বামী রণবীর কাপুর ছাড়াও রয়েছেন তাঁর বাবা মহেশ ভট্ট, শাশুড়ি মা নিতু কাপুর, এবং আলিয়ার দিদি শাহীন ভট্ট। আলিয়ার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রসঙ্গে অভিনেত্রীর বাবা মহেশ ভাট্ট সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন “একটি নতুন সূর্য ওঠার অপেক্ষায় রয়েছি। আহ, আমার বাচ্চা মা হতে চলেছে। তাঁর একটি বাচ্চা হতে চলেছে! আমি রণবীর এবং আলিয়ার জন্য খুব খুশি”। তিনি আরও বলেন, “এখন আমাকে আমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য প্রস্তুত করতে হবে দাদুর ভূমিকা”।
এর আগে ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে সাত পাকে বাঁধা পরেন বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় জুটি রণবীর কাপুর এবং আলিয়া ভট্ট। ব্রহ্মাস্ত্র ছবির শুটিংয়ের সময় থেকেই তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ের কিছু দিনের মধ্যেই আলিয়া তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে তাঁর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর প্রকাশ করেন। হাসপাতালের আল্ট্রাসাউন্ড ল্যাব থেকে একটি ছবি পোস্ট করে আলিয়া লেখেন আমাদের সন্তান খুব তাড়াতাড়ি আসতে চলেছে। এরপর অন্তঃসত্ত্বা অবস্থাতেই ব্রহ্মাস্ত্র ছবির প্রমোশন করেন আলিয়া। তবে আলিয়ার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর প্রকাশ পাওয়ার পর তাঁর অনুরাগীরা যেমন খুশি হয়েছেন তেমনই তা নিয়ে প্রচুর বিতর্কও চলেছে। অবশেষে সব অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে রবিবারই আলিয়া মা হতে চলেছে বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা।