নিজস্ব প্রতিনিধি: টেলি দুনিয়ার জনপ্রিয় জুটি প্রতীক সেন এবং সোনামণি সাহা। স্টার জলসার ‘মোহর’ (Mohor) ধারাবাহিকের সুবাদে তাঁদের জনপ্রিয়তা এখন আকাশছোঁয়া। ধারাবাহিক শেষ হলেও এই জুটির জনপ্রিয়তা কোনও অংশে কমেনি। বরং তাঁদের রসায়নে বুঁদ অনুগামীরা এই জুটিকে বারবার পর্দায় দেখতে চাইছেন। সেই নিয়েও অনেকদিন ধরেই গুঞ্জন চলছিল যে, খুব শীঘ্রই প্রতীক-সোনামণি জুটিতে ফিরছেন।কিন্তু এই দুই অভিনেতা, অভিনেত্রীর আলাদা আলাদা ধারাবাহিক শুরু হলে, সেই জল্পনায় রীতিমতো তালা পড়ে। কিন্তু এই জল্পনা নিছকই মিথ্যে নয়, সত্যিই। তাঁরা দুজনেই আলাদা আলাদা ধারাবাহিকে মুখ দেখালেও আদতে তাঁরা খুব শীঘ্রই জোড়ায় ফিরছেন, না তবে এবার ছোট্ট পর্দায় নয় একেবারে বড় পর্দায়।
গতকালই জানা যায় যে, ‘বেহায়া’ ছবির হাত ধরে বড়পর্দায় আত্মপ্রকাশ করতে চলেছেন সোনামণি এবং প্রতীক। আর তাঁদের নিয়ে ছবি বাঁধছেন প্রযোজক রানা সরকার। এই খবরে প্রতীক-সোনামণির অনুরাগীরা খুশি হলেও, মনে হচ্ছে দর্শকদের সেই খুশিতে ভাটা পড়তে চলেছে। হ্যাঁ, শোনা যাচ্ছে মাঝপথে আচমকাই থমকে গিয়েছে ‘বেহায়া’র কাজ। প্রযোজকের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনেছেন সাপ্লায়ার্স গিল্ডের সম্পাদক। অভিযোগ, শ্যুটের জন্য লাইট-সহ আরও অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে, প্রাপ্ত পারিশ্রমিক দেননি রানা। তবে কি টাকা না মেটানোর জন্যই বন্ধ হচ্ছে পরিচালক মৈনাক ভৌমিকের ছবির শ্যুট? এই প্রসঙ্গে একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘আমি যদি সত্যিই প্রতারণা করে থাকি, তবে ওঁদের আইনের সাহায্য নেওয়া উচিত। যা বলা হচ্ছে, তা সত্যি নয়। আমি আগেই টাকা দিয়ে দিয়েছি। তার পরেও আমার ছবির কাজে এ রকম সমস্যা সৃষ্টি করা হচ্ছে। তাই শ্যুট বন্ধ করে দিয়েছি।’
প্রযোজকের দাবি, তাঁকে অকারণে হেনস্থা ও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই তিনি পুলিশ এবং আইনের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘একটি ছবি তৈরির জন্য আমরা সবাই মনপ্রাণ দিয়ে কাজ করি। তার পরেও এ ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে? আমাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বলা হচ্ছে, অন্য কোনও জায়গা থেকে শ্যুটের লাইট নিয়ে এলে তা ভেঙে দেওয়া হবে। অশ্লীল ভাষা প্রয়োগ করা হচ্ছে!’ আইনি পথে হেঁটে এই সমস্যার সুরাহা করতে চান রানা। পাশাপাশি তিনি আরও জানান, দরকার পড়লে বাংলার বাইরে গিয়ে নির্ঝঞ্ঝাট ভাবে ছবি তৈরি করবেন তিনি।