নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বাস্তব থেকেই তো ছবি হয়। আর সেই বাস্তবকেই যেন নিজের ছবিতে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তুলে ধরলেন রাজ চক্রবর্তী। মুক্তির পর থেকেই দর্শক এছবির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। বাড়ির খুদে সদস্যটির মোবাইল চাইই চাই। নাহলে সে খাবে না। কোনও কথা শুনবে না। যত দিন এগোচ্ছে সেই সমস্যা যেন আমাদের আষ্টেপৃষ্ঠে ধরছে। অভিভাবকরাও নাজেহাল নিজের বাচ্চাদের এই আসক্তি থেকে বিরত করতে। কিছুতেই তাঁরা সেকাজ করে উঠতে পারছিলেন না, ব্যর্থ হচ্ছিলেন। এবার সেই দায়িত্ব সকলের হয়ে পালন করে দিলেন পরিচালক রাজ চক্রবর্তী। সৌজন্যে ছবি ‘হাবজি গাবজি’।
রাজের ‘হাবজি গাবজি’ ছবির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন শুভশ্রী ও পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। আর তাঁদের সন্তানের মধ্যে যে মোবাইল গেম খেলার আসক্তি তা তাঁরা কিছুতেই বন্ধ করতে পারছে না। ছোট বড় সকলেই এই ছবি দেখতে এতদিনে হলে গিয়েছেন। আর সেই হল ভিজিটে গিয়েই নাকি চোখে পড়েছে রাজের যে ভয়ে আড়ষ্ট ছোটরা। পরিচালকের চোখের সামনেই ফোন থেকে গেম ডিলিট করছে তারা। ছবি দেখে ছোটরা নাকি দারুণ ভয়ও পেয়েছে। ছবি দেখার পর কিংবা হলে বসেই নাকি কেউ কেউ মুছে ফেলেছে পছন্দের গেম। কেউ আবার নাকি রাজকে বলেছে ‘কী বাজে ছবি বানিয়েছ দেখেই ভয় পাচ্ছে’।
ছবির সাফল্যর জন্য তো বটেই তার সঙ্গে এমন এক দায়িত্ব পালন করতে পেরেও যারপরনাই খুশি রাজ। আর হবেন নাই বা কেন? ছবি করার পাশাপাশি তা থেকে কিছু বার্তা দেওয়ার দায়িত্বও বর্তায় পরিচালকের উপর। সেদিক থেকেও সে খুশি। নিজের ভাগ্নিকে দেখেই নাকি পরিচালকের এমন ছবির ভাবনা। সারাদিন ফোনে মুখ গুঁজে বসে থাকা সেই একরত্তির এমন আসক্তি নাকি মেনে নিতে পারেনি মামা রাজ চক্রবর্তী। শুধু তাই নয় কোথাও গেলেই দেখতেন সবাই ফোনে ব্যস্ত। কেউ কারও সঙ্গে কথা বলে না। পরিবারেও সবাই ফোন নিয়ে ব্যস্ত। এসব থেকেই তাঁর মাথায় এসেছিল এমন এক ছবির ভাবনা। আর তাই হল ভিজিটের সপময় মঞ্চ থেকে নামার আগে প্রত্যেক অভিভাবক দর্শককে সন্তানকে সময় দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন পরিচালক। বলেছেন ”সন্তানকে সময় দিন। ওঁর সঙ্গে কথা বলুন, খেলুন। মোবাইল নয়, ওঁর হাতে তুলে দিন ফুটবল। যাতে মোবাইল গেমের নেশায় না ডুবতে পারে। ” তাঁর নিজের ঘরেও এক খুদে রয়েছে। নানাভাবে ছেলে ইউভানকে সময় দেন তাঁরা তারকা দম্পতি।