নিজস্ব প্রতিনিধিঃ তাঁর শেষকৃত্য হোক অনাড়ম্বর সেটাই চেয়েছিলেন প্রয়াত পরিচালক তরুণ মজুমদার। সেইমতই এদিন তাঁর শেষযাত্রা সম্পন্ন হল। এসএসকেএমেই দেহদান করা হল তাঁর। এদিন তাঁর শেষ ইচ্ছার কথা মাথায় রেখেই ফুলমালায় শ্রদ্ধা জানানো হল না। হল না গান স্যালুটে শেষ বিদায়। বরং তাঁর গায়ে দেওয়া হল কমিউনিস্ট পার্টির পতাকা। গীতার বদলে বুকের উপর দেওয়া হল গীতাঞ্জলি। এনটিওয়ান থেকে এদিন তাঁর মরদেহ ফের আসে এসএসকেএম -এ । সেখানেই হয় তাঁর দেহদান.
এদিন তাঁর মৃত্যুর খবর শোনার পরেই হাসপাতালে পৌঁছেছিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন ও অরূপ বিশ্বাস। শোকজ্ঞাপন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়াও এদিন হাসপাতালে এসেছিলেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী, কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়, শতরূপ ঘোষ প্রমুখ। এদিন দুপুর ২টো ৪৭ মিনিটে তাঁর মরদেহ হাসপাতাল থেকে বের করে আনা হয়। এদিন তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলেন দেবশ্রি রায়, দেবদূত ঘোষ, দোলন রায়, বোধিসত্ব মজুমদার, সুমন্ত্র মুখোপাধ্যায়, শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়, ভাস্বর চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের পর শববাহী গাড়ি ফের রওনা দেয় এসএসকেএমের দিকে।
গত ১৪ জুন জটিল শারীরিক অবস্থা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। এরপর কখনও জটিল হয়েছে অবস্থা তো কখনও আবার সুস্থ হয়েছেন। কিডনির সমস্যার পাশাপাশি দেখা দিয়েছিল ফুসফুসের সমস্যাও। অসুস্থ হওয়ার আগেও সেরে এসেছিলেন রেইকির কাজ। বেলপাহাড়ি, ঝাড়গ্রামে লোকেশন দেখে এসে ছবির শুট শুরু করবেন বলে মনস্থির করেছিলেন কিন্তু সেই শেষ ছবি আর করা হয়ে উঠল না। দীর্ঘ লড়াইয়ের অবসান ঘটিয়ে সোমবার সকাল ১১.১৭ মিনিটে ৯১ বছর বয়সে না ফেরার দেশে চলে গেলেন পরিচালক তরুণ মজুমদার।