নিজস্ব প্রতিনিধি: পুজোর মরসুম শেষ। বিয়ের মরসুম শুরু। চারিদিকে বিয়ের সানাই। প্রতি বছরের মতো টলিউডেও বিয়ের মরসুম। শীতকালেই বিয়েটা বেশ জমে। সকালে কাঁচামিঠে রোদ, বিকেলে তির তির করে হাওয়া বইছে হেমন্তের। যাকে বলে পারফেক্ট সময় বিয়ের সময়। ভারী ভারী গয়নায় মুড়ে শীতের সন্ধ্যাটা নববধূর সাজে ওই মেয়েটিও যেন আলাদাই আমেজে থাকে দিনটিতে। যাই হোক, কিছুদিন আগেই জানা গিয়েছিল এই মাসেই বিবাহবন্ধনে বাধা পড়ছেন ফড়িংয়ের মা, যার পোশাকি নাম রাধারানি নস্কর।
ধুমধাম করে নয় একেবারে নির্ঝঞ্জাটেই বিয়ে সারলেন ‘আলতা ফড়িং’-খ্যাত অভিনেত্রী শাঁওলি চট্টোপাধ্যায়। তাঁর আইনি বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন আলতা ফড়িংয়ের গোটা টিম। জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করলেন অভিনেত্রী শাঁওলি চট্টোপাধ্যায়। দীর্ঘদিনের প্রেমিক প্রতীক দত্তের সঙ্গেই সারাজীবন থাকার সিদ্ধান্ত নিলেন অভিনেত্রী। থিয়েটারের মঞ্চেই তাঁদের প্রথম দেখা। সেখান থেকে শুরু বন্ধুত্ব, প্রেম। একেবারেই জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজন নয়, সইসাবুদ, মালাবদল ও সিঁদুরদানের মাধ্যমেই বিবাহ সম্পন্ন হল শাঁওলি-প্রতীকের।
বিয়ের দিন শাঁওলির পরনে ছিল সাদা শাড়ি। প্রতীক সেজেছিলেন ধূসর রঙের পাঞ্জাবিতে। তাঁদের দুজনের বাড়ি দমদমে। শনিবার দমদমের কাছে এক অনুষ্ঠানবাড়িতে বসেছিল শাঁওলির অতিথি আপ্যায়নের আসর। তাঁর শুভদিনে হাজির ছিলেন ‘আলতা ফড়িং’এর রিল লাইফের মেয়ে ‘ফড়িং’, এবং ফড়িংয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজন। বেসরকারি সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে শাঁওলি বলেছেন, “আমরা বিয়েতে খুব বেশি আচার-অনুষ্ঠান করিনি, সবটাই বেশ ঘরোয়া ভাবে হয়েছে। তবে ইচ্ছে ছিল খাওয়াদাওয়া জমিয়ে যাতে হয়। সেটাই করেছি।” এমনকী মধুচন্দ্রিমারও বিশেষ পরিকল্পনা নেই তাঁদের। সময় পেলে কোথাও ঘুরতে যাবেন। শাঁওলি-প্রতীকের পরিচয় প্রায় ন’বছরের। প্রতীক পোস্ট অফিসে চাকরি করে। তবে নাটকের মঞ্চ থেকেই তাঁদের আলাপ। ‘তারপরেই আস্তে আস্তে প্রেমে গড়িয়েছে তাঁদের সম্পর্ক। আপাতত জীবনের নতুন অধ্যায়ের আনন্দে ভাসছে শাঁওলি-প্রতীক।
আরও পড়ুনঃ জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করতে চলেছেন ‘ফড়িংয়ের মা’ রাধারানী