নিজস্ব প্রতিনিধি: বলিউডে একের পর এক দুর্যোগ। গত সপ্তাহেই প্রয়াত হয়েছেন অভিনেত্রী অঙ্কিতা লোখান্ডের রিয়েল লাইফ নায়ক তাঁর বাবা। অভিনেত্রী বাবার মৃত্যুর কারণ না জানা না গেলেও অভিনেত্রী বাবার মৃত্যুতে স্বাভাবিক ভাবে খুবই ভেঙে পড়েছিলেন। এমনকি বাবার মৃতদেহ নিজের কাঁধে করে শ্মশানে নিয়ে গিয়েছেন অভিনেত্রী। সেই ছবি এবং ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় আসা মাত্রই অভিনেত্রীর প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন ভক্তরা। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার অভিনেতা পঙ্কজ ত্রিপাঠির পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এল। মারা গিয়েছেন অভিনেতার বাবা পণ্ডিত বানারস তিওয়ারি। অভিনেতার গ্রামের বাড়িতেই প্রয়াত গিয়েছেন তাঁর বাবা। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৮ বছর।
সদ্য মুক্তি পেয়েছে অভিনেতার ছবি ‘OMG 2’।ছবিটি ‘গদর 2’-এর সঙ্গে লড়াইয়ে ব্যর্থ হলেও ইতিমধ্যেই ১০০ কোটির আয় করে ফেলেছে। কিন্তু ছবি সাফল্যের আনন্দের মধ্যেই বাবাকে হারালেন পঙ্কজ ত্রিপাঠি। বাবার মৃত্যুর খবর শোনা মাত্রই উত্তরাখণ্ড থেকে বিহারের বেলসান্দে তাঁর গ্রামের উদ্দেশ্য রওনা হয়েছে অভিনেতা। অভিনয় জীবন শুরু করার আগে বাবা মায়ের সঙ্গে বিহারেই থাকতেন পঙ্কজ। এখন স্ত্রী এবং মেয়ের সঙ্গে মুম্বইতে থাকেন তিনি।
একবার একটি সাক্ষাৎকারে পঙ্কজ তাঁর বাবা সম্পর্কে বলেছিলেন, ‘আমার বাবা আমাকে একজন ডাক্তার করতে চেয়েছিলেন। আমি যে জায়গা থেকে এসেছি — উত্তর বিহারের গোপালগঞ্জের একটি গ্রাম — সেখানে মানুষ মাত্র দুটি পেশা জানে, ইঞ্জিনিয়ার বা ডাক্তার। আমি একজন কৃষকের ছেলে। আমার গ্রাম অভ্যন্তরে কোনও সুনির্মিত রাস্তা নেই। তবে আমার পরিবার আমার অভিনয়ের স্বপ্নকে সমর্থন করেছিল। তাঁদের একটাই চিন্তা ছিল আমি রোজি-রোটি রোজগার করতে পারব কিনা। আমি তাঁদের বলেছিলাম যে আমি যদি দিল্লিতে যাই (পঙ্কজ ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামার প্রাক্তন ছাত্র), আমি একটা সরকারি চাকরিও পেতে পারি।” এই মাসের শুরুতে একটি সাক্ষাত্কারে, অভিনেতা আরও বলেন, ‘আমার বাবা আমার অভিনয়ের কাজ সম্পর্কে সচেতন নন। খুব একটা গর্বিত নন তিনি। আমার বাবা নিজেও জানেন না আমি সিনেমায় কী করি। আজ পর্যন্ত তিনি আমার কোনো সিনেমা দেখেননি।”