নিজস্ব প্রতিনিধি: কথায় আছে, ছেলে হোক বা মেয়ে, যে কারুরই ‘গালে তিল’ সৌন্দর্যের প্রতীক। যাকে বলে বিউটি স্পট। সম্প্রতি এরকমই একটি সংলাপ সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো তোলপাড় ফেলে দিয়েছে। আট থেকে আশি সবাই এই সংলাপের সঙ্গে নানা মজাদার পারফরম্যান্স দিচ্ছেন। কারুর গালে তিল না থাকলেও নকল তিল বানিয়ে এই সংলাপের সহিত পারফরম্যান্স দিচ্ছেন, আর যাঁদের সত্যি সত্যি গালে তিল আছে, তাঁদের তো কথাই নেই। তবে কে এই বাচ্চা, সঙ্গে দিদি রচনার কণ্ঠ ছিল! সংলাপটি ছিল, রচনার কথায় – ‘গালে কি ওটা’, পুচকিটার কথায়, এটা আমার তিল, বিউটি স্পট। এই সংলাপটি এখন নেট দুনিয়ায় রীতিমতো দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। কিন্তু কে সে?
দিদি নং ওয়ান-এর কোনো একটা এপিসোড কি? আসলে বর্তমানে যুগের বাচ্চাদের কিছু শিখিয়ে দিতে হয় না, সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্য নিয়েই তাঁরা এক একটি অ্যাটম বম্বে পরিণত হচ্ছে। বাংলার টপ গেম শো ‘দিদি নং ওয়ান’, দীর্ঘ ১১ বছর ধরে একই জনপ্রিয়তার সঙ্গে জি বাংলার পর্দায় রাজত্ব করে চলেছে এই শো। অভিনেত্রী রচনা বন্দোপাধ্যায়ের সঞ্চালনায় এই শোয়ের খ্যাতি এখন বিশ্বমানের। রাজ্য তো বটেই, দেশ, বিদেশ থেকে নানা প্রতিযোগী এই শোয়ে খেলতে আসছেন এবং তাঁদের জীবনীর কথা রচনা দিদির কাছে শেয়ার করে যাচ্ছেন। এই শো নিয়ে একাধিক বিতর্কও রয়েছে বটে, কিছু কিছু মানুষের দাবি দিদিদের সংগ্রামের কথাগুলি মিথ্যে বানানো, শোয়ের ইউএসপি বাড়ানোর জন্যে সম্পূর্ন নাটক করে থাকেন সব প্রতিযোগী। কিন্তু এত বিতর্ক থাকা সত্ত্বেও এই শোয়ের জনপ্রিয়তা দিন দিন আকাশ ছুঁচ্ছে।
যাই হোক, এবার দিদি নং ওয়ান, এবং সোশ্যাল মিডিয়া একেবারে মিলে মিশে একাকার হয়ে গেল। কেন? আপনারা মোটামুটি সবাই জানেন এই শো প্রতি সপ্তাহেই নিত্যনতুন চমকে পরি পূর্ণ থাকে। আট থেকে আশি সব দিদিরাই এই শোয়ের প্রতিযোগী। কিছুদিন আগেই এই শোয়ে এসেছিল ক্ষুদে প্রতিযোগিরা। যাঁদের বয়স ৭-৮ বছরের বেশি নয়। সম্প্রতি, সেই এপিসোডের অন্যাতম ক্ষুদে প্রতিযোগী ত্রিসিক্তার কন্ঠে শোনা গেল এই ভাইরাল সংলাপটি। রচনা তাঁর সঙ্গে আলাপ চারিতা সারতেই এর বাইরে তাঁর মায়ের ভান্ডাও ফাটালো। জানাল, তাঁর মা তাঁর বাবার কাছে সবচেয়ে বেশি বকা খায়। আর সে বাবা, মা, দাদা সবার কাছে মার খায়।এদিন এই শোয়ে ত্রিসিক্তার পাশাপাশি আরও তিন ক্ষুদে প্রতিযোগীর মজার মজার কথায় একেবারে জমে উঠল।