নিজস্ব প্রতিনিধি: বাঙালির পয়লা বৈশাখের সকাল সকালই খারাপ খবর। রবিবার সকালে সুপারস্টার সলমন খানের বাড়ির বাইরে চলল ভয়ানক গোলাগুলি কাণ্ড। কেঁপে উঠল অভিনেতার গ্যালাক্সির বাইরে রাস্তাঘাট। পুলিশ সূত্রানুযায়ী, রবিবার ভোর ৫টা নাগাদ সলমান খানের বাড়ির সামনে গুলির শব্দ শোনা গিয়েছে। আর সেই ঘটনা ঘটিয়েছেন দুই অজ্ঞাত পরিচয় মোটর বাইক আরোহী।
যাঁরা এদিন ভোরে অভিনেতার বাড়ির বাইরে অকারণেই শূন্যে পাঁচ রাউন্ড গুলি চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত পালিয়ে যায়। সলমান খানের বাড়ির প্রথম তলার দেওয়ালেও একটি গুলি লেগেছে বলে জানিয়েছেন মুম্বই পুলিশ। গুলি চালানোর সময় একটি বিদেশী পিস্তল ব্যবহার করা হয়েছিল বলে অনুমান পুলিশের। ইতিমধ্যেই মুম্বাই পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং যারা গুলি চালিয়েছিল তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। সলমান খানকে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র আজকের নয়। গত ২ বছর ধরেই অভিনেতাকে মেরে ফেলার ফন্দি আঁটছেন কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই এবং তাঁর দলবল। এই মূহুর্তে লরেন্স বিষ্ণোই জেলবন্দি থাকলেও সেখান থেকেই ছকে যাচ্ছে সুপারস্টারকে মারার। গত দু’বছর ধরে অভিনেতাকে একাধিকবার মৃত্যু হুমকি চিঠি দিয়েছেন লরেন্স বিষ্ণোইয়ের দলবল। এমনকি একবার অভিনেতার বাড়ির সামনে প্রকাশ্যেই গুলি চলেছিল।
স্বল্পের জন্যে বেঁচে যান সলমন। গতবছরও অভিনেতার বাইরে দুই অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি ঢুকেও পড়েছিল। এদিকে, গতবছর, ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) বলেছিল যে, সলমান খান ১০ টি প্রধান লক্ষ্যের তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন। যাঁদেরকে কারাগারে আটক গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই নির্মূল করার পরিকল্পনা করেছিলেন। আসলে অভিনেতার কুখ্যাত ১৯৯৮ সালের কালো হরিণ শিকারের ঘটনা বিষ্ণোই সম্প্রদায়কে ক্ষুব্ধ করেছিল। কারণ কালো হরিণকে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের সম্প্রদায় দেবতা হিসেবে পুজো করেন। পরে যতদিন অভিনেতা বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের কাছে ক্ষমা চাইবেন, ততদিন তার নিস্তার নেই। একবার লরেন্স বিষ্ণোই নিজেই প্রকাশ করেছিলেন যে, তার বন্ধু, সম্পাত নেহরা, সলমান খানের বান্দ্রার বাসভবনে নজরদারি করেছিলেন, একটি সম্ভাব্য আঘাতের জন্য মঞ্চ তৈরি করেছিলেন। তবে, ইতিমধ্যেই হরিয়ানা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের হাতে ধরা পড়ে গিয়েছে নেহরা। গত বছরের ১১ এপ্রিল আরেকটি হুমকি কলের পর মুম্বাই পুলিশ সলমান খানের নিরাপত্তার অবস্থা Y+-এ বাড়িয়ে দিয়েছে। মিস্টার খানকে হুমকিমূলক ইমেল পাঠানোর অভিযোগে যুক্তরাজ্যে একজন ভারতীয় ছাত্রের বিরুদ্ধে একটি লুকআউট সার্কুলার (এলওসি) জারি করা হয়েছিল।