নিজস্ব প্রতিনিধি: আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি দিনভর চলল ভালবাসার দিবস উদযাপন। সঙ্গে আজ বাঙালিদের ছিল বিশেষ দিন, সরস্বতী পুজো। বাঙালিদের কাছে সরস্বতী পুজোর আলাদাই মর্ম। এই দিনটা বিশেষত স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের। এমনকি প্রতিটি বাঙালি পরিবারও বাগদেবীর আরাধনায় মজে আছেন। আজকের দিনটি বসন্ত পঞ্চমী নামেও পরিচিত। আজ সারা রাস্তায় হলুদ শাড়ি-পাঞ্জাবিতে কপত-কপতীদের ভিড় চোখে পড়ার মতো ছিল।
বিশেষ করে বাচ্চা গুলোকে শাড়ি পরে রাস্তাঘাট যেন রমরমা হয়ে উঠেছিল। তবে যাই হোক না কেন, আজ শুধু সাধারণ মানুষ নয়, সেলিব্রিটিরাও মেতে উঠেছিলেন বাগদেবীর আরাধনায়। আজ কেমন কাটল দিনটা টলি ডিভা রুক্মিণী মৈত্রর? পেশা অভিনয় হলেও পড়তে, লিখতে ভীষণ ভালবাসেন তিনি। সরস্বতী পুজো দিন তাই ঠাকুরের সামনে নিয়ম করে বই রাখেন, অঞ্জলিও দেন। একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যম অনুযায়ী অভিনেত্রী জানালেন তাঁর সরস্বতী পুজোর দিনটা কেমন কাটল? মুলত নিজের বাড়িতে নয় দাদার বাড়িতে অঞ্চলী দেন অভিনেত্রী। তবে প্রত্যেক বছর ঠিক থাকেনা কোথায় তিনি পুজো দেবেন, সেই বিষয়টা। কোনও একটা জায়গায় পুজো দিয়ে দেন। বই মায়ের পায়ে ছুঁইয়ে দেন। কুল খান।
পুজোর ২ দিন কোনও বইয়ের পাতা উল্টান না তিনি। ছোট থেকেই প্রতিদিনের প্রতিটা কাজ, ইচ্ছা, স্বপ্ন, ভাললাগা সমস্ত কিছু লিখে রাখেন তিনি ডায়েরিতে। ১২ বছর বয়সে প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান তিনি। প্রথম উপার্জন ছিল হাজার পাঁচেক টাকা। সেই চেকটা গিয়ে ঠাকুরের সামনে রেখেছিলেন। তার পর থেকেই যে কোনও চেক ঠাকুরের কাছে রাখেন তিনি। তবে ১২ বছরে ডেবিউ করেও পড়াশোনার জন্যে ১০ বছর সিনেমার থেকে দূরে ছিলেন তিনি।এরপর অভিনয়ে ফেরা, প্রথম প্রথম উপার্জন করে গোটাটাই তুলে দিতেন মা-বাবার হাতে। এখনও তাই করেন। কাজের দিকে তাঁকে আগামিতে জিতের সঙ্গে বুমেরাং-এ দেখা যাবে। এছাড়াও বিদ্যুৎ জাম্মাওয়ালের সঙ্গে তাঁকে ক্র্যাক এর আইতেম ডান্সে দেখা যাবে।