নিজস্ব প্রতিনিধি: অবশেষে ইতিহাস গড়ল ভারত। মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ISRO হল সফল। গতবছর চন্দ্রযান 2-এর ব্যর্থতার কান্না একেবারে সুদে আসলে ফিরিয়ে দিল চন্দ্রযান ৩। অবশেষে চাঁদের মাটি ছুঁল ‘মুন মিশনের ল্যান্ডার বিক্রম’। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করল চন্দ্রযান ৩। ২০২৩ সালটা একেবারে গৌরবময় বছর হিসেবে স্বীকৃতি পেল ভারত। অনন্তকালের প্রচেষ্টা সার্থক হল, চাঁদকে একেবারে হাতের মুঠোয় বন্দী করল ভারত। দীর্ঘ ৪০ দিনের যাত্রা শেষে খুশির রশনাই গোটা ভারত জুড়ে। বিশ্বের চতুর্থতম দেশ হিসেবে ভারত স্বীকৃতি পেল, এ যেন এক গৌরবময় সময়। আর চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণে প্রথম দেশ হল ভারত। গোটা বিশ্ববাসী ভারতকে শুভেচ্ছায় ভরাচ্ছে। কথা অনুযায়ী, বুধবার সন্ধ্যায় ঠিক ৬ টা বেজে ৪ মিনিট নাগাদ চাঁদে অবতরণ করল ল্যান্ডার বিক্রম। চাঁদের বুকে ল্যান্ডার বিক্রম পা রাখতেই শিশুর মতো লাফিয়ে উঠলেন ইসরো কন্ট্রোল রুমে সমস্ত বিজ্ঞানীরা। ব্যর্থতার পাথর যেন চিরকালের জন্যে ঘুচে গেল। গতবছর চন্দ্রযান 2-এর যেন ব্যর্থতার কাহিনী এতদিন ভারতকে বয়ে নিয়ে যেতে হচ্ছিল তা চিরকালের মতো নিঃশেষ করে দিল চন্দ্রযান 3। খুশিতে মেতে উঠেছেন বলিউড, দক্ষিণী টলিউড সকলে। অভিনেত্রী কৃতি শ্যানন বলেলেন, “এটি প্রতিটি ভারতীয়র জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। আমি তাই গর্বিত বোধ করছি যে আজ চন্দ্রযান-৩ অবতরণ করবে।” ১৪ জুলাই চাঁদের পথে পাড়ি দিয়েছিল চন্দ্রযান ৩। ৪০ দিন পর সফল হল তার যাত্রা।
অক্ষয় কুমার থেকে অভিষেক বচ্চন, কার্তিক আরিয়ান, চিরঞ্জীবী কোনিদেলা-সহ অনেকেই ভারতের এই গৌরবময় মুহূর্তটিকে স্বাগত জানিয়েছেন। অক্ষয় কুমার বলেছেন, ‘আমরা চাঁদের উপরে’। অসম্ভবকে সম্ভব করার জন্যে ISRO-তে বিলিয়ন বিলিয়ন ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। নিজেকে ভাগ্যবান বলেছেন যে ভারতকে ইতিহাস তৈরি করতে দেখছেন। দক্ষিণের সুপারস্টার চিরঞ্জীবী কোনিদেলা বলেছেন, ইতিহাস তৈরি হয়েছে। চিরঞ্জীবীও তাঁর উত্তেজনা ধরে রাখতে না পেরে চাঁদ ছোঁয়া দর্শনীয় সাফল্য বলে অভিহিত করেছেন। গর্বিত মুহূর্তটি ইনস্টাগ্রামে ভাগ করে নিয়ে কার্তিক আরিয়ান ISRO কে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।অভিষেক বচ্চন বিজয়ী টাচডাউনের জন্য ISRO-কে অভিনন্দন জানিয়েছেন৷ পুষ্পা 2 তারকা আল্লু অর্জুন ভারতকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন৷ শাহরুখ খানও অভিনন্দন জানাল ISRO-কে।
উল্লেখ্য, এদিন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল ল্যান্ডার বিক্রমের শেষ ১৫ মিনিটের যাত্রা। প্রথমে চাঁদের উপর ৩০ কিলোমিটার উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া হয় ল্যান্ডার বিক্রম কে, অবতরণ স্থল থেকে তার দূরত্ব ছিল ৭৪৫.৫ কিলোমিটার। ৩০ কিলোমিটার উচ্চতা থেকে চাঁদের দিকে নেমে আসার প্রক্রিয়ায় ল্যান্ডারের গতিবেগ ছিল প্রতি সেকেন্ডে ১.৬ কিলোমিটার। ধীরে ধীরে গতি কমিয়ে হাল্কা পালকের মতো নামে চাঁদের মাটি ছুঁল ল্যান্ডার বিক্রম। ৬৯০ সেকেন্ড এইভাবে ধীরে ধীরে নামার পর ল্যান্ডারের ইঞ্জিনগুলো কাজ করা শুরু করে।প্রধানমন্ত্রী বিজ্ঞানীদের শুভেচ্ছা জানাতেও ভুললেন না।