নিজস্ব প্রতিনিধি: ভাইরাল হওয়ার জন্যে যেকোনও কনটেন্ট কেই রসালোদার ভাবে প্রেজেন্ট করা মিডিয়ার অন্যতম কাজ বলা চলে। এ দিকে জীবন্ত মানুষ কে মেরে ফেলাও মিডিয়ার অন্যতম কার সাজি। এই নিয়ে এককালে কম প্রতিবাদ হয় নি, মামলা গড়িয়েছে আইন পর্যন্তও, তাও যে কে সেই! কিছুদিন আগেই বলিউড শেহনশাহ অমিতাভ বচ্চনের নাতনী আরাধ্যা কে নিয়েও এরকম ভুলভাল খবর ছড়িয়ে পড়ার পরে নড়েচড়ে বসেছিল বচ্চন পরিবারে। হাইকোর্টের নির্দেশে প্রায় প্রায় ৩০ টি ইউটিউব চ্যানেলকে বন্ধ করে দেওয়া হয়। এছাড়াও অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিককে কেন্দ্র করে অনেক সময়ই তাঁর মৃত্যুর ভুয়ো খবর ছড়িয়েছে।
একবার এই ধরনের খবরে রেগেও গিয়েছিলেন তাঁর কন্যা কোয়েল মল্লিক। এবার সেই একই ঘটনা ঘটল অভিনেতা জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে। বুধবার আচমকাই চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে অভিনেতার মৃত্যুর খবর। যা অভিনেতারও নজর এড়িয়ে যায়নি। একপ্রকার বিরক্ত হয়েই ফেসবুকে নিজের ভুয়ো মৃত্যুসংবাদ খবরটি (না ফেরার দেশে বাংলা ছবির জনপ্রিয় অভিনেতা) ভাগ করে অভিনেতা লিখলেন, “তা হলে কি আমি ভূত? এই খবর যে করেছে, তার ঘাড় মটকাব আমি। আচ্ছা এটা দেখালে কি আমার ইনশিয়োরেন্সগুলো ম্যাচিয়োর করবে?” অভিনেতাদের নিয়ে এমন ভুয়ো খবর এই প্রথম নয়। বর্তমানে ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামের যুগে এই বিষয়টি খুবই বেড়েছে।
অভিনেতা জয়জিৎ এই প্রসঙ্গে একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যমকে বললেন, “jayjeet! আমার মৃত্যুর খবর শুনে যদি ইনশিয়োরেন্সগুলো ম্যাচিয়োর করে যায়।” এই মুহূর্তে দুটি সিরিয়ালে অভিনয় করছেন জয়জিৎ। পাশাপাশি একটি সিনেমা এবং ওয়েব সিরিজের কথা চলছে। এ প্রসঙ্গে জয়জিৎ বলেন, “তবে কথা হলেও ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় ওয়েব প্ল্যাটফর্ম থেকে আমায় কেউ ডাকে না। তাতে কোনও সমস্যা নেই। আমায় যদি কোনও প্রযোজক বলেন, আপনি অভিনয় করুন সেটা শৌচালয়ে প্রদর্শিত হবে। আমি সেটাই করতে রাজি। কারণ আমার কাজ ভাল অভিনয় করা। সেটা আমি যে কোনও পরিস্থিতিতে করব। বাকি কিছুতে যায়-আসে না।”