নিজস্ব প্রতিনিধি: মিমি চক্রবর্তী, বর্তমানে শুধুমাত্র টলিউড ইন্ডাস্ট্রিরই নয়, রাজনৈতিক মহলেরও একজন উল্লেখযোগ্য নাম। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের হয়ে অংশগ্রহণ করে জয়ী হন তিনি। বর্তমানে যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী, গত কয়েক বছর ধরেই তাঁর আসন একেবারে পাক্কা। অভিনয়ের পাশাপাশি সাংসদের দায়িত্বও দিব্য সামলে যাচ্ছেন মিমি। প্রতি মুহূর্তে প্রখর বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে চলেছেন মিমি। কাজের ক্ষেত্রেই হোক বা জনগন রক্ষার স্বার্থে, মাঝে মধ্যেই নানা কারণে সংবাদের শিরোনামে উঠে আসেন মিমি। যাই হোক, এবার আসি আলোচ্য বিষয়ে।
মাস ছয়েক আগে ভাঙড়ের নলমুড়ি ব্লক হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন অভিনেত্রী তথা তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। কিন্তু ছয় মাসের মধ্যে মাত্র একবারই হাসপাতাল পরিদর্শনে এসেছিলেন মিমি। বুধবার রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠকে যোগ দিতে দ্বিতীয়বার হাসপাতালে যান মিমি। আর মিমিকে সামনে পেয়েই স্বাভাবিকভাবেই তাঁর সামনে অভাব, অভিযোগ, ক্ষোভের ঝুলি খুলে বসেন স্থানীয়রা। শুধু তাই নয়, বৈঠক শেষে মিমি যখন বাইরে আসেন তখন স্থানীয়রা হাসপাতালের রোগী পরিষেবা নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ উগরে দেন অভিনেত্রীর কাছে। এদিন মিমির কাছে জমা পড়ে, পর্যাপ্ত চিকিৎসক না থাকার ব্যবস্থা, পানীয় জলের অভাব, হাসপাতাল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাব, রাতে আলোর অভাব-সহ একগুচ্ছ অভিযোগ।
এরপর যখন মিমি মিটিং শেষে গাড়িতে উঠে গিয়ে সাধারণ মানুষের উদ্দেশে হাত নাড়তে থাকেন, তখন সুরজ মোল্লা নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা হাসপাতালের সমস্যা প্রসঙ্গে আরও কিছু অভিযোগ মিমিকে জানাতে এগিয়ে যান। এরপর সটান গাড়ি থেকে নেমে সকলের কাছে এগিয়ে গিয়ে যাবতীয় অভিযোগ শোনেন মিমি। স্থানীয়রা জানান, হাসপাতালে পর্যাপ্ত জলের সমস্যা রয়েছে। হাসপাতাল চত্বর নিয়মিত পরিষ্কার করাও হয় না। জ্বলে না আলোও ঠিকঠাকভাবে। সঙ্গে রোগী রেফার নিয়েও রয়েছে একাধিক সমস্যা। এরপর সবকিছু খতিয়ে দেখে নির্দিষ্ট ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন সাংসদ। মিমির কথায়, ‘পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দিক থেকে নলমুড়ি হাসপাতাল রাজ্যে দ্বিতীয়। আমরা অ্যাওয়ার্ডও পেয়েছি। তবে কথা দিলাম রাজ্যের মধ্যে এবার এই হাসপাতাল প্রথম হবে। অপারেশন থিয়েটারে এসি মেশিন বসানোরও ব্যবস্থা করা হবে খুব জলদি।’ প্রসঙ্গত, এদিন ১০ জন টিবি রোগীকে দত্তকও নিয়েছেন অভিনেত্রী।