নিজস্ব প্রতিনিধি: ‘রাহে না রাহে হাম, মেহেকা কারেঙ্গে’, সত্যিই তিনি আর নেই। দীর্ঘ এক মাসের লড়াইয়ে ইতি টানলেন কিন্নরকণ্ঠী লতা মঙ্গেশকর। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের ৮ তারিখ জানা যায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তিনি। চিকিৎসক প্রতীত সামদানি তাঁর চিকিৎসা করছিলেন। চিকিৎসায় সাড়াও দিয়েছিলেন লতা মঙ্গেশকার। তা শুনে আশার আলো দেখেছিলেন তাঁর পরিবার ও তার ভক্তরা। কিন্তু আচমকাই শনিবার বাগদেবীর আরাধনার দিনেই এল দুঃসংবাদ। অত্যন্ত সঙ্কটজনক অবস্থায় ফের ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয় লতাকে। জানানো হয় হৃদযন্ত্রের গুরুতর সমস্যা দেখা দিয়েছে। শত লড়াইয়ের পরেও ফিরে আসতে পারলেন না কিন্নরকণ্ঠী লতা মঙ্গেশকর। রবিবার সকালে তাঁর সঙ্গীতময় এই জীবনে ইতি টানলেন। তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দু দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালনের কথা ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে।শিল্পীর মৃত্যুতে যে সমগ্র শিল্পজগতে এক বিশাল বড় শূন্যতার সৃষ্টি হল সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
১৯২৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর ইন্দোরে এক সঙ্গীত পরিবারে জন্ম লতা মঙ্গেশকরের। গানের হাতেখড়ি মারাঠি সঙ্গীত জগতের সুবিখ্যাত ধ্রুপদী গায়ক বাবা দীননাথ মঙ্গেশকরের কাছে। মাত্র ১৩ বছর বয়সেই মারাঠি ছবির জন্য গান রেকর্ড করেন লতা। ১৯৪৫ সালে মুম্বই পাড়ি দেন। ১৯৪৮ সালে মজবুর সিনেমায় প্রথম গান গেয়েছিলেন লতা মঙ্গেশকর। ভারতের ৩৬টি আঞ্চলিক ভাষাতে গান গাওয়ার রেকর্ড একমাত্র তাঁরই রয়েছে।এই দীর্ঘ সঙ্গীতময় জীবনে তিনি ভূষিত হয়েছেন নানা সম্মানে। পেয়েছেন ভারতরত্ন, পদ্মভূষণ, পদ্মবিভূষণ, দাদাসাহেব ফালকে, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার সহ নানা পুরস্কার।রবিবার তাঁর মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই অবসান হলো ভারতীয় সঙ্গীতের একটি অধ্যায়ের। যা আজীবন অপূরণীয় থাকবে।