নিজস্ব প্রতিনিধিঃ পরপর অভিনেত্রী পল্লবী দে ও মডেল বিদিশা দে মজুমদারের মৃত্যুর ধাক্কা সয়ে উঠতে না উঠতেই আরও এক মডেলের মৃত্যুর খবর রীতিমত অবাক করেছে সকলকে। শুক্রবার পাটুলির বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় মৃত ওই মডেল অভিনেত্রী মঞ্জুষা নিয়োগীকে। মেয়ের মৃত্যুর পর মুখ খুলেছেন মঞ্জুষার মা। তাঁর কথায় , পল্লবী ও বিদিশার মৃত্যুর পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিল মঞ্জুষা। বিদিশা আর তাঁর মেয়ে খুব ভালো বন্ধু ছিল। বিদিশার মৃত্যুর পর সারাক্ষণ তার কথাই বলত মঞ্জুষা। শুক্রবারও শুটিং সেরে এসেছিল মঞ্জুষা।
অন্যদিকে বিবাহিত এই মডেল অভিনেত্রীর মা প্রশংসা করেছেন জামাইয়ের। মেয়ের মৃত্যুতে জামাইয়ের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেননি মৃত মঞ্জুষার মা। সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে তাঁর জামাই ভীষণ ভালো মানুষ ছিল। মেয়ে এই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করার জন্য রোগা থাকার চেষ্টা করত তাই খাওয়াদাওয়া কম করত। জামাই বলত এত কাজ একসঙ্গে করার দরকার নেই। কিন্তু ও শেষ পর্যন্ত কোনও কথাই শুনল না।
বিদিশা মারা যাওয়ার পর থেকেই মুষড়ে পড়া অভিনেত্রী বারবার নাকি বাড়ির লোকেদের বলেছেন যে তাঁরও আর বেচে থাকার ইচ্ছা নেই। বেশ কিছুদিন আগে পাটুলিতে বাপেরবাড়িতে এসেছিলেন মঞ্জুষা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্ত্রী-এর এমন অবস্থার কথা শুনে তাঁকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য পাটুলির বাড়িতে আসেন মঞ্জুষার স্বামী। কিন্তু মঞ্জুষা স্বামীর সঙ্গে ফিরে যেতে চাননি। কিন্তু কেন পরপর একই পেশার তিনজনের এরকম রহস্যমৃত্যু? শুধুই কী মানসিক অবসাদ? নাকি এর নেপথ্যে রয়েছে অন্য কোনও কারণ? সেই প্রসঙ্গ উঠে আসছে বারবার।