নিজস্ব প্রতিনিধি: রবিবার হয়ে গেল বাংলার জনপ্রিয় মিউজিক রিয়েলিটি শো ‘সারেগামাপা’-র গ্র্যান্ড ফিনালে। দীর্ঘ ৬ মাসের লড়াইয়ের শেষে বিজয়ীর ট্রফি উঠল পদ্মপলাশ হালদার এবং অস্মিতা করের হাতে। তবে বিজয়ীর নাম প্রকাশ্যে আসতেই নেটপাড়ার একটি বড় অংশ বিচারকদের ঘোষিত ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। যদিও এই প্রথম নয়, জি বাংলার ‘সারেগামাপা’-এর ফলাফল নিয়ে প্রতিবারই বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয় দর্শকদের মধ্যে। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ওঠে বিতর্কের ঝড়। এবারও ব্যতিক্রম হলনা। পদ্মপলাশের জয়ের বিষয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। যদিও তাঁদের অস্মিতাকে নিয়ে কোনও আপত্তি নেই, পদ্মপলাশকে বিজেতা হিসেবে মানতে নারাজ দর্শক।
বেশিরভাগ দর্শক মনে করছেন, পদ্মপলাশ শুধু কীর্তনেই এক্সপার্ট, তাঁর কন্ঠে তেমন কোনও গান মানায় না। সেদিক থেকে বিচার করলে দ্বিতীয় স্থানাধিকারী অ্যালবার্ট কাবো অনেক বেশি ভার্সাটাইল। এখানেই ক্ষান্ত হননি নেটিজেনরা। অধিকাংশ দাবি করেছেন, পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর শ্রুতিনন্দনের ছাত্র হওয়ায় পক্ষপাতিত্ব করে পদ্মপলাশকে জিতিয়ে দেওয়া হয়েছে। যেমন এর আগে ইমনের পক্ষপাতিত্বে উইনার হয়েছিলেন অভ্রদীপ।
এসব বিতর্কের মাঝেই পদ্মপলাশকে নিয়ে অনল চট্টোপাধ্যায় একটি পোস্টে জানান, ‘পদ্মপলাশ আজ থেকে বারো বছর আগে যখন আমার কাছে গান শিখতে এসেছিল ওর বাবার সঙ্গে, সে দিনই লক্ষ্য করেছিলাম, খুব ভালো সাঙ্গীতিক বীজ তো ওর মধ্যে আছেই, সাথে আছে আরও কতগুলো বিশেষ গুণ। যে গুণগুলো মানুষকে বহুদূর এগিয়ে নিয়ে যায়। সেগুলো হলো শ্রদ্ধা, বিনয়, সরলতা, বিচক্ষণতা আর পরিমিতি বোধ।’ তিনি আরও জানান, ‘সুমন ভট্টাচার্যদার থেকে কীর্তনের গভীর তালিম নেওয়ার সঙ্গে, ওর রাগ সংগীতের তালিমও চলতে থাকে সমান গুরুত্ব সহকারে। পরবর্তীতে আমিই ওকে আমার গুরুজির কাছে অ্যাপরিসিয়েশনের ক্লাস নিতে পরামর্শ দিয়েছিলাম যাতে শিক্ষায় কোনও খামতি না থেকে যায়।’