নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: গুরুতর অসুস্থ হয়ে ছেলেকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি বাংলাদেশের জনপ্রিয় চর্চিত নায়িকা পরীমণি। বর্তমানে ছেলেকে নিয়েই তাঁর এক চিলতে সংসার। পঞ্চম স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে তাও অনেকদিন। এক ছাদের তলায় থাকেনা তাঁরা, তবে এখনও আইনত তাঁদের ডিভোর্স হয়েছে কিনা, তা জানা যায়নি। ২০২৩ সালে অভিনেতা শরিফুল রাজের ঘর ছেড়েছেন পরীমণি। ২০২২ সালে জানুয়ারিতে বিয়ে করেছিলেন তাঁরা, একই বছরের অগস্টে ছেলে রাজ্যের জন্ম দেন অভিনেত্রী। এরপর থেকেই ছেলেই তাঁর প্রাণ। শরিফুল রাজের সঙ্গেও তাঁর ভালই সংসার চলছিল কিন্তু একসময় রাজের সঙ্গে অভিনেত্রীর ঝগড়া, বিবাদ, চরমে পৌঁছয়। বিশেষ করে রাজের ফেসবুক থেকে তাঁর বান্ধবীদের আপত্তিকর ভিডিও ছড়িয়ে যাওয়ার পরেই ঘর স্বামীর ঘর ছাড়েন অভিনেত্রী, বর্তমানে তাঁর কাছের নানা সেও প্রয়াত। গত বছরেই মারা গিয়েছেন তিনি। সব মিলিয়ে ছেলেকে নিয়েই তাঁর এক টুকরো পৃথিবী। সেই ছেলেই অসুস্থ তাঁর।
সম্প্রতি ছেলে রাজ্যকে সঙ্গে নিয়ে নানার বাড়ি ঘুরতে গিয়েছিলেন পরী। সেখান থেকেই গত ১১ জানুয়ারি ছেলেসহ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঢাকায় ফিরছিলেন অভিনেত্রী। কিন্তু রাস্তায় হঠাৎ ফল কিনে রাজ্যকে খাওয়ান, পাশাপাশি অভিনেত্রীর পরিবারের সদস্যরা ফল খান, আর গাড়ি চালকও। আর তাতেই বিপত্তি। ফল খেয়েই অসুস্থ হয়ে পড়েন রাজ্য-সহ অভিনেত্রীর পরিবারের সকলে। এরপরেই ঢাকাল একটি হাসপাতালে ভর্তি হন পরীমণির ছেলে এবং তাঁর পরিবারের সবাই। আজ রবিবার অভিনেত্রী নিজেই তাঁর ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে খবরটি জানান।
সঙ্গে ক্যাপশনে লেখেন, “শীতকালে সবাই খাবার দাবার বুঝে খাবেন। বিশেষ করে বাইরের খাবার। এত ব্যাকটেরিয়া,ভাইরাস শীতের সময় এসব থেকে সেইফ থাকা মুশকিল। বরিশাল থেকে ফেরার পথে একটা ফলের দোকান থেকে কিছু ফল কিনেছিলাম। বাসায় ফল খাওয়ার আগে রেগুলার যেভাবে ক্লিন করা হয় সেভাবে না করেই শুধু মিনারেল ওয়াটার দিয়ে ধুয়ে খেয়েছিলাম। বাবু খুবই অল্প পরিমান মানে দুই একটা বাইট নিয়েছিলো। ব্যাস! বাচ্চা, আমি, আমার গাড়ি চালক সহ আমার বাসার মোট পাঁচ জন ফুড পয়জনিং নিয়ে ১১ তারিখ রাত থেকে হসপিটালে। সবাই মোটামুটি রিকভার করলেও পুন্য এখনো হসপিটালাইজড! নানু বাড়ি থেকে ভীষন রকম গুড এনার্জী নিয়ে ফিরেছিলাম। জমে থাকা কাজগুলো একটানা শেষ করবো ভাবছিলাম। গতকাল আমার ওয়েব ফিল্ম কাগজের বৌ এর প্রেস মিট ও প্রিমিয়ার ছিলো এফডিসিতে। থাকতে পারিনি। স্বাভাবিক ভাবেই মন খারাপ হচ্ছিল খুব। কিন্তু সকাল থেকে অনেক সাংবাদিক ভাই বন্ধু মেসেজে,ফোনে কাগজের বৌ এর প্রশংসা করলেন! আমার, তায়েব ভাই, ইমন এর নতুন কেমেস্ট্রি আর অভিনয় এর ভালোলাগা প্রকাশ করলেন! আমার পরিচালক চয়নিকা চৌধুরী মেসেজে লিখলেন” কি যে সুন্দর ছবি বানিয়েছি নিজেরই তো বিশ্বাস হচ্ছে না!” আমার বেশ আনন্দ হচ্ছে এসবে। সবাই কে অনেক ধন্যবাদ। সুস্থ থাকবেন সবাই।” (পস্তের লেখা অপরিবর্তনীয়)