নিজস্ব প্রতিনিধি: একজন সাধারণ চিকিৎসক। দৈনন্দিন জীবনে একগুচ্ছ সমস্যায় জর্জরিত। যিনি কোনওদিন বিমানে চড়ার স্বপ্নও দেখেননি। আর তাঁকেই কি না মহাকাশে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তাতে রাজিও হয়ে যান। কিন্তু সেখানে গিয়ে আরও বড় সমস্যায় সম্মুখীন হতে হয়। তবে শেষ পর্যন্ত সেখান থেকে বেঁচে ফেরেন। তিনি একা নন, মহাকাশ স্টেশনে আটকা পড়া এক মহাকাশচারীর জীবনও বাঁচিয়ে তোলেন তিনি। এমনই এক টান টান উত্তেজনার গল্প নিয়ে তৈরি হচ্ছে একটি রুশ ছবি। যার শ্যুটিং হবে মহাকাশেই। আর এই রুশ ছবি দিয়েই এই প্রথম মহাকাশে কোনও ফিল্মের শ্যুটিং হতে চলেছে।
প্রথমবার মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিলেন সোভিয়েত ইউনিয়নের মহাকাশচারী ইউরি গ্যাগারিন। ভোস্তক-১ মহাকাশযানে চেপে ১৯৬১-র ১২ এপ্রিল পৃথিবীকে এক বার প্রদক্ষিণও করেছিলেন তিনি। তার ঠিক ৭০ বছরের মাথায় এ বার মহাকাশে প্রথম ফিল্মের শ্যুটিংও করতে যাচ্ছে রুশরাই। ছবিটির পরিচালক তথা অন্যতম অভিনেতা ক্লিম শিপেঙ্কো মস্কোয় এক সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন, আগামী ৫ অক্টোবর কাজাখস্তানের বৈকানুর কসমোড্রোম থেকে তাদের টিমকে নিয়ে মহাকাশে রওনা দেবে সয়ুজ এমএস-১৯ মহাকাশযান। টিমে রয়েছেন মাত্র চারজন। বিশিষ্ট রুশ অভিনেত্রী জুলিয়া পেরেসলিড, ক্লিম শিপেঙ্কো এবং রুশ অভিনেতা অ্যান্টন স্কাপলেরভ। অবশ্য চতুর্থজন পাইলট।
যেহেতু কোনও মেক-আপ আর্টিস্ট ও কস্টিউম ডিজাইনার যাচ্ছেন না, তাই ওই দায়িত্ব অভিনেত্রী জুলিয়া কাঁধে তুলে নিয়েছেন। তবে পরিচালক ক্লিম শিপেঙ্কোর উচ্চতা সমস্যায় ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যাতে কোনও অসুবিধা না হয় তার জন্য প্রশিক্ষণ নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন শিপেঙ্কো। তবে ছবির গল্পে কোনও যুদ্ধ নেই, নেই কোনও ভৌতিক বা কাল্পনিক কাণ্ডকারখানাও, তাহলে হঠাৎ মহাকাশে শ্যুটিং করার ভাবনা এল কোথা থেকে? প্রশ্নের জবাবে পরিচালক জানিয়েছেন, ছবির গল্প বাস্তবিক করে তুলতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। তবে শুধু স্পেস-স্টেশনেই নয়, আগামীতে লালগ্রহ মঙ্গলেও ছবির শ্যুটিং করার ইচ্ছে আছে বলে জানালেন তিনি।