নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: বাংলাদেশের কিং খান শাকিব খান। প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন কারণে সংবাদপত্রের শিরোনামে থাকেন নায়ক। তাঁর ব্যক্তিগত হোক বা পেশাগত সবটাই চর্চিত। যদিও অভিনেতার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে জানতে সকলেই উৎসুক। একটা সময় বাংলা সিনেমা মানেই ছিল শাকিব খান আর অপু বিশ্বাসের জুটি হিট। দীর্ঘদিন প্রেমের পর ২০০৮ সালে গোপনে বিয়ে করেন শাকিব খান এবং অপু বিশ্বাস। গোপনেই তাঁদের বাচ্চা হয়। কিন্তু সংসার জীবনের ১০ বছর পর তাঁরা ডিভোর্সের পথে হাঁটেন। এই নিয়েও কম বিতর্ক ওঠেনি। এত বছরে শাকিব খান তাঁর সন্তানের খবর কেন প্রকাশ্যে আনতে দেননি, সেটাও বিতর্কিত। এর মাস খানেক পরেই জনপ্রিয় নায়িকা শবনম বুবলীকে বিয়ে করেন অভিনেতা।
২০২২ সালে আচমকাই ছেলের কথা প্রকাশ্যে এনে চমকে দেন বুবলী। সঙ্গে জানান, তাঁর সঙ্গে ২০১৮ সালে বিয়ে হয় শাকিব খানের। এবং তাঁদের একমাত্র সন্তান বীরের জন্ম হয়। কিন্তু সেটাও গোপনে। যদিও শাকিব খান বুবলী আর তাঁর ছেলের পরিচয় এড়িয়ে যাননি। বুবলীর সঙ্গে বিয়ের কথা স্বীকার করেছেন শাকিব খান। কিন্তু এই মুহূর্তে বুবলীর সঙ্গেও থাকেন না শাকিব খান। এখন দুজনই অতীত।অতীত হলেও দুই জনের ঘরেই শাকিবের ফুটফুটে দুটি পুত্র সন্তান রয়েছে। তাই ছেলেদের যত্নে কখনই অভাব রাখেন না অভিনেতা। ছেলেদের স্কুলের অভিভাবক থেকে তাঁদের জন্মদিন সবটাতেই বাবার কর্তব্য পালন করেন অভিনেতা। অপু বিশ্বাসের ঘরে রয়েছে তাঁর ছেলে আব্রাম খান জয়, অন্যদিকে বুবলীর সংসারে শেহজাদ খান বীর।
বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সন্তানদের সঙ্গেও সময় কাটান ঢালিউড সুপারস্টার। সেটাই এত ব্যস্ত জীবনের এটুকুই তাঁর শান্তির জায়গা। কিন্তু অপু বিশ্বাস এবং বুবলীর ছেলেরা, তাঁরা সম্পর্কে দুই ভাই হলেও আদেউ কি তাঁরা একসঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ পান, কিংবা অপু-বুবলীর কখনও মুখোমুখি দেখা হয়? সম্প্রতি এই নিয়ে একটি সংবাদমাধ্যমে প্রশ্নের উত্তরে বুবলী বলেন, শাকিব খানের বাড়িতে অপু বিশ্বাস ও জয়ের সঙ্গে দেখা হয়। একই অনুষ্ঠানে হাজির হলে, দেখা হয়। তবে বীর ও জয় তারা দুজনেই ভাই হিসেবে নিজেদেরকে চেনে। বীর সবসময় জয়কে সালাম দেয়। শাকিব খানও দুজনকে শিখিয়ে দেয়, ছোট ভাইকে আদর করতে। বড়কে সম্মান করো। সব মিলিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে দারুণ সম্পর্ক।