আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ম্যাচ শুরুর আগের রাতে শুনেছিলেন মৃত্যু সংবাদ। শুরু হয় নিজের সঙ্গে নিজের লডা়ই। লড়াই চলে সারারাত। সকালে গিয়েছিলেন অনুশীলনে। সতীর্থদের সঙ্গে তালে তাল মিলিয়ে অনুশীলন করেন। মাঠে তাঁর খেলা দেখে একবারের জন্য বোঝা যায়নি, আগের দিন রাতে ফোনে তাকে দেওয়া হয়েছিল প্রিয়জনকে হারিয়ে ফেলার খবর। আর রেফারি ফাইনাল বাঁশি বাজাতেই দুই হাত চোখ দিয়ে ঢাকলেন। শুধু জল আর জল।
স্কোয়াডের বাকি সদস্যদের মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই কৌতুহল তৈরি হয়। অধিনায়ক-সহ সকলেই তাকে ঘিরে ধরেন। চেষ্টা করেন শান্ত করার। কান্নার কারণ জানতে চাইলে সতীর্থদের সে জানায়, আগের দিন রাতে বাড়ি থেকে ফোন করে জানিয়েছে, তাঁর প্রিয় দাদু শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। খবর তাকে নাড়িয়ে দিয়েছে। সব থেকে বেশি তাঁকে কষ্ট দিচ্ছে, যে শেষ সময়ে দাদুর কাছে সে থাকতে পারল না । ইন্সটাগ্রামে আবেগঘন পোস্ট করেছেন, যা পড়ে সতীর্থরাও রীতিমতো মানসিকভাবে বিধ্বস্ত। সবাই তাকে শান্ত করার চেষ্টা করছে।
প্রিয় দাদুকে হারিয়েছেন ওয়েলসের ফুল-ব্যাক নেকো উইলিয়ামস। ইন্সটাগ্রামে লিখেছেন, দাদু আমার খেলা দেখার জন্য টিভির পর্দার দিকে হাঁ করে তাকিয়ে থাকতেন। ওনার হাত ধরে ফুটবল দুনিয়ায় প্রবেশ। বয়স তখন মাত্র ছয় বছর। আজ যখন বিশ্বকাপে খেলছি আমি, খেলছে আমার দেশ, অনুভব করছি দাদুর অভাব। কষ্ট হচ্ছে। ম্যাচ আমি আমার দাদুকে উৎসর্গ করলাম।
আরও পড়ুন চোট বেঞ্জিমার, খেলছেন না বিশ্বকাপে, এই নিয়ে তিনবার