নিজস্ব প্রতিনিধি, ইয়াঙ্গুন: দেশে গণতন্ত্র ফেরানোর লড়াইয়ে সামিল হয়েছিলেন ওরা। বিনিময়ে জুটল মৃত্যুদণ্ড। চলতি সপ্তাহে ইয়াঙ্গুন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাত পড়ুয়াকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে মায়ানমারের সামরিক জুন্টা সরকার। এ নিয়ে চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলনে ১৩৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মায়ানমারের সামরিক জুন্টা সরকারের এমন ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক।
চলতি বছরের পয়লা ফেব্রুয়ারি ভোটে নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করে দেশের শাসনক্ষমতা হাতে নেন মায়ানমারের সেনাবাহিনীর শীর্ষ আধিকারিকরা। জেলে পোরা হয় আউন সাং সু চি সহ মন্ত্রিসভার সদস্যদের। সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে গত ১০ মাস ধরে রাজপথে নেমে আন্দোলন চালাচ্ছে সাধারণ মানুষ। বিক্ষোভ দমাতে কঠোর পথে হেঁটেছে সামরিক বাহিনী। এখনও পর্যন্ত সেনা ও পুলিশের গুলিতে দুই হাজার ২৮০ জন বিক্ষোভকারী প্রাণ হারিয়েছেন। গ্রেফতার করা হয়েছে ১১ হাজার ৬৩৭ জনকে। পাশাপাশি বিক্ষোভকারীদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হচ্ছে। জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘গত বুধবার মায়ানমারের সামরিক আদালত অন্তত সাতজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। বিচারের নামে প্রহসন চলছে। বিক্ষোভ দমাতে মৃত্যুদণ্ডকে হাতিয়ার করেছে মায়ানমারের জুন্টা সরকার।’
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, গত এপ্রিলে সামরিক শাসকদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছিলেন ইয়াঙ্গুন বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন পড়ুয়া। তাদের বিরুদ্ধে একটি ব্যাঙ্কে গুলি চালানোর অভিযোগ আনা হয়। দাগন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়নের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের উপরে মৃত্যুদণ্ড আরোপ করা সামরিক বাহিনীর প্রতিশোধমূলক কাজ।