আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দীর্ঘ দেড় মাস পর গাজা-ইজরায়েল যুদ্ধে অবশেষে গত শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) থেকে চার দিনের যুদ্ধ বিরতি কার্যকর হয়েছিল। মুক্তি পাচ্ছে উভয় পক্ষেরই বন্দিরা। ইতিমধ্য়েই যুদ্ধবিরতির মেয়াদও বাড়িয়েছে ইজরায়েল ও হামাস।
গত মঙ্গলবার (28 নভেম্বর) থেকে শুরু হয় আরও দুই দিনের যুদ্ধ বিরতি। প্যালেস্তাইনের গাজায় যুদ্ধ বিরতি ষষ্ঠ দিনে পা দিয়েছে গত বুধবার (29 নভেম্বর)। এদিন রাতে আরও ৩০ প্যালেস্তানি বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে ইজরায়েল। অন্যদিকে প্যালেস্তাইনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস মুক্তি দিয়েছে ১০ ইজরায়েলি বন্দীকে।
চলমান যুদ্ধ বিরতির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা বুধবার। তবে এর আগেই কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় মেয়াদ আরও বাড়ানোর আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে এর অগ্রগতির কোনো খবর এখনো জানা যায়নি।
এই পরিস্থিতিতে ইজরায়েলের কারা কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানায়, কয়েকটি কারাগার থেকে ৩০ প্যালেস্তানিকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে যুদ্ধ বিরতির আওতায় ইজরায়েলের কারাগার থেকে মুক্ত হওয়া প্যালেস্তানির সংখ্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে ২১০ জনে।
কাতারের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, মুক্ত হওয়া ৩০ প্যালেস্তানির মধ্যে ১৪ জন নারী, অন্য ১৬ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক। অন্যদিকে, হামাসের পক্ষ থেকে মুক্ত করে দেওয়া ১০ জন ইজরায়েলে পৌঁছেছেন। তাঁদের মধ্যে ৫ নারী, ৩ শিশু ও ১৮ বছরের এক তরুণ রয়েছেন। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
প্রসঙ্গত, গত অক্টোবর মাসে গাজা থেকে ইজরায়েলের উপর হওয়া হামাস গোষ্ঠীর রকেট হামলায় নিহত প্রায় কয়েক হাজার মানুষ। হামাস গোষ্ঠী পণবন্দি করে ২০০ জনের বেশি ইজরায়েলিকে। তারপর থেকেই গাজাকে হামাস মুক্ত করতে হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েল। বোমা বর্ষণের তীব্রতায় ইতিমধ্য়েই ভয়াবহ পরিস্থিতি প্য়ালেস্তাইনের গাজার। অভুক্ত হাজার হাজার শিশু। ইজরায়েলের হামলায় ১৪ হাজার ৮০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশই শিশু।