নিজস্ব প্রতিনিধি: রুশ রাজধানী মস্কোর এক কনসার্ট হলে জঙ্গিদের এলোথাড়ি গুলিতে কমপক্ষে ৪০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। গুলিতে জখম হয়েছেন আরও শতাধিক। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ফলে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। প্রতিবেদন প্রকাশ পর্যন্ত কোনও জঙ্গি সংগঠন ওই হামলার দায় স্বীকার করেনি। ওই ঘটনার পরেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনাস্থলে বিশাল দাঙ্গারোধী পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আশপাশের এলাকা খালি করে দেওয়া হয়েছে।
রুশ সংবাদমাধ্যম ‘দ্য মস্কো টাইমস’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজধানী মস্কোর অদূরে ক্রকাস সিটি হলে শুক্রবার সন্ধ্যায় সেনাবাহিনীর জংলা পোশাক পরে হানা দেয় পাঁচ জঙ্গি। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই বোমা ছুড়তে শুরু করে দেয়। ধোঁয়ার কুণ্ডলী ছেয়ে যায় গোটা হলজুড়ে। বিকট শব্দে গোটা এলাকা কেঁপে ওঠে। বোমাবাজির পরে এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়তে শুরু করে। ওই গুলির বৃষ্টি থেকে বাঁচতে অনেকেই প্রাণভয়ে মাটিতে শুয়ে পড়েন। কেউ-কেউ হামাগুড়ি দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু প্রাণ নিয়ে অনেকেই পালাতে পারেননি। গুলিবিদ্ধ হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিনিট ধরে চলে ওই হামলা। বন্দুকবাজদের হামলার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে আসা দাঙ্গারোধী পুলিশ বাহিনী। পুরো এলাকা ঘিরে ধরে। হেলিকপ্টারের মাধ্যমে হতাহতদের উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বিভিন্ন সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা গিয়েছে, কনসার্ট হলের বিভিন্ন জায়গায় বহু মরদেহ পড়ে রয়েছে।
রাশিয়ার বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা এদিনের হামলাকে ‘জঙ্গি হানা’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে হামলার নিন্দা করার অনুরোধ জানিয়েছেন। এদিনের হামলার পিছনে ইউক্রেনের যোগ রয়েছে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফে মাসখানেক আগেই রাশিয়ায় ভয়াবহ জঙ্গি হামলার কথা জানানো হয়েছিল। ফলে ওই হামলার পিছনে মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ’র হাত রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে রাশিয়ার গুপ্তচর সংস্থা কেজিবি।