নিজস্ব প্রতিনিধি : গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ধৃত অস্ট্রেলিয়ান লেখক ইয়াং হেংজুনকে ‘স্থগিত মৃত্যুদণ্ড’ দিল চিনের একটি আদালত। স্থগিত মৃত্যুদণ্ডের ফলে এখন ইয়াংয়ের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে না। ক্ষেত্রে দুই বছর পর্যবেক্ষণের পর তাঁর সাজা মকুব হতে পারে।
অস্ট্রেলিয়ান লেখক ইয়াং হেংজুন একজন ঔপনাসিক। তিনি চিনের বিষয়ে বিভিন্ন ব্লগ লিখতেন। গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা শুরু হয়। শেষপর্যন্ত ইয়াংকে স্থগিত মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনানো হয়। যদিও তাঁকে সাজা দেওয়া নিয়ে ইতিমধ্যে কড়া প্রতিক্রিয়া জারি করেছে অস্ট্রেলিয়া সরকার। অস্ট্রেলিয়ার বিদেশমন্ত্রী পেনি ও ইতিমধ্যে জানিয়েছেন, বেইজিংয়ের সঙ্গে এই বিষয়ে যোগাযোগ করা হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ার সব মানুষই দেখতে চায়, ইয়াং তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে পুনরায় মিলিত হচ্ছেন। তবে দেশের অভ্যন্তরীন বিষয়ে অস্ট্রেলিয়াকে হস্তক্ষেপ না করার কথা জানিয়ে দিয়েছে বেইজিং সরকার।
ইতিমধ্যে ইয়াংয়ের বিরুদ্ধে এই সাজার নিন্দা করেছে চিনে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূত। সিডনিতে ইয়াংয়ের বন্ধু ফেং চোংয়ি জানিয়েছেন, চিনা সরকারের সমালোচনা করার কারণেই ইয়াংয়ের শাস্তি হয়েছে। গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের মতো মূল্যবোধের কথা বলায় শাস্তির মুখে পডতে হয়েছে ইয়ংকে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে গুয়াংঝু বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয় ইয়াংকে। ২০২১ সালে ইয়াংয়ের বিরুদ্ধে সিক্রেট ট্রায়াল শুরু হয়। জানা গিয়েছে, ইয়াংকে গ্রেফতার করার পর তাঁকে তিনশো বার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ইয়াংয়ের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, গ্রেফতার হওয়ার পর ছয় মাস ধরে তাঁর ওপর ব্যাপক নির্যাতন চালানো হয়।