নিজস্ব প্রতিনিধি, ওয়াশিংটন: নজিরবিহীন তৎপরতার সঙ্গে রাহুল গান্ধির সাংসদপদ খারিজ নিয়ে শুধু দেশেই নয়, বিদেশেও চরম সমালোচনার মুখে পড়ল মোদি সরকার। প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির সাংসদপদ খারিজকে গান্ধি মতাদর্শ এবং ভারতের মূল ভাবধারার প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা বলে আখ্যা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দলের সাংসদ তথা ভারতীয় বংশোদ্ভুত রো খান্না। রাহুলের সাংসদপদ খারিজের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হস্তক্ষেপও চেয়েছেন প্রভাবশালী ডেমোক্র্যাট সাংসদ।
গত বৃহস্পতিবারই ‘মোদি’ পদবি নিয়ে মন্তব্যের জেরে রাহুল গান্ধিকে জেলের সাজা শুনিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির খাসতালুক গুজরাত রাজ্যের এক নিম্ন আদালত। আর ওই রায়ের ২৪ ঘন্টার মধ্যেই নজিরবিহীন তৎপরতা দেখিয়ে শুক্রবার দুপুরে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির সাংসদপদ খারিজ করে দিয়েছেন লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা। রাহুলের সাংসদপদ খারিজের খবর ছড়িয়ে পড়তেই দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। কংগ্রেসের কট্টর বিরোধী একাধিক দলও ওই সিদ্ধান্তের সমালোচনায় সরব হয়েছে।
ইন্দিরা গান্ধির নাতির সদস্যপদ খারিজের খবর শুনেই টুইটে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন ক্যালিফোর্নিয়ার ভারতীয় বংশোদ্ভুত মার্কিন সাংসদ রো খান্না। টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘সংসদ থেকে রাহুল গান্ধিকে বহিষ্কার করা গান্ধি মতাদর্শ এবং দেশের গভীর মূল্যবোধের প্রতি গভীর বিশ্বাসঘাতকতা। এর জন্য আমার ঠাকুরদা কয়েক বছর জেলে জীবন কাটাননি। নরেন্দ্র মোদি, ভারতীয় গণতন্ত্রের স্বার্থে আপনার উচিত এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা।’ কূটনীতিবিদরা মনে করছেন, রো খান্নার মতো প্রভাবশালী মার্কিন সাংসদ যেভাবে রাহুল গান্ধির পাশে দাঁড়িয়েছেন তা মোদি সরকারের জন্য চরম বিড়ম্বনার। সম্প্রতি ব্রিটেন সফরে গিয়ে মোদি জমানায় ভারতীয় গণতন্ত্র নিয়ে যে অভিযোগ করেছিলেন রাহুল, তাঁর সাংসদপদ খারিজ সেই অভিযোগকেই কার্যত সিলমোহর দিয়েছে।’