আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আদালতকে কি এবার সব কিছু ফেলে প্রিসাইডিং অফিসারের ভূমিকা নিতে হবে। পাক পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হামজা শাহবাজের মুখ্যমন্ত্রী পদকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলার শুনানিতে এই মন্তব্য করেছে লাহোর হাইকোর্ট (Lahore High Court)। শাহবাজের মুখ্যমন্ত্রী পদকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে লাহোর হাইকোর্টে মামলা করে যৌথভাবে পিটিআই (পাকিস্তান-তেরিক-ইনসাফ বা PTI) এবং পাকিস্তান মুসলিম লিগ (কোয়েদ-ই-আজম)। এর আগে এই মামলার শুনানি হয়েছিল একক বিচারপতির বেঞ্চে (single bench)। আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় পিটিআই এবং পিএমএল (PML-Q)। সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে হামজার স্বপক্ষে যাওয়ায় পিটিআই এবং পিএমএল (কিউ) লাহোর হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়।
শুনানি চলছে পাঁচ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চে (Larger Bench) । এই পাঁচ বিচারপতি হলেন বিচারপতি সাদাকৎ আলি খান, বিচারপতি শাহিদ জামিল, বিচারপতি শেহরাম সারওয়ার, বিচারপতি সাজিদ মামুদ শেঠি এবং বিচারপতি তারিক সালিম শেখ। মামলা দায়ে করে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ শুনানিতে হামজার আইনজীবীর বক্তব্য প্রথমে শুনতে চায়। হামজার আইনজীবীর কাছে বেঞ্চ জানতে চেয়েছে, সংবিধানের ৬৩-এ ধারা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যে রায় এবং পর্যবেক্ষণ কেন এই ক্ষেত্রে কার্যকর হবে না। জবাবে পাক-পঞ্জাব প্রদেশের (Pak-Punjab) মুখ্যমন্ত্রীর আইনজীবী বলেন, পিটিআই এবং পিএমএলের (কিউ) দায়ের করা মামলায় মুখ্যমন্ত্রীর (CM) পদকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা দায়ের করা হয়নি। মামলা দায়ের করা হয়েছে, নির্বাচন সংক্রান্ত ঘটনা প্রবাহ নিয়ে। তাই, সুপ্রিম কোর্ট ৬৩-এ ধারা নিয়ে যে রায় দিয়েছিল, এই মামলার ক্ষেত্রে সেটা কার্যকর হয় না।