নিজস্ব প্রতিনিধি : স্ত্রীর দেহকে ২০০ টুকরো করে নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছিলেন স্বামী। এমনই নৃশংস ঘটনাটি ঘটেছে ব্রিটেনে। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওই ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালের মার্চ মাসে ব্রিটেনের বাসিন্দা নিকোলাস মেটসন তাঁর স্ত্রী হোলি ব্রামলেকে হত্যা করে। কীভাবে হত্যা করা হয়েছিল হোলি ব্রামলেকে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, প্রথমে স্ত্রী হোলিকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে নিকোলাস। এরপর দুশোর বেশি টুকরো করা হয় হোলির দেহকে। টুকরোগুলি কয়েকটি প্লাসটিকের ব্যাগে রান্নাঘরে রেখে দেয় নিকোলাস। সেখানেই এক সপ্তাহ পরেছিল দেহের টুকরোগুলি। এরপর দেহের টুকরোভর্তি প্লাসটিক ব্যাগগুলি একটি বন্ধুর সাহায্য নিয়ে উইথ্যাম নদীতে ফেলে দিয়ে আসে নিকোলাস।
তদন্তকারীরা জানতে পেরেছে, ঘটনাটি ঘটার একদিন পর প্লাসটিকের ব্যাগগুলি ভাসতে দেখে মর্নিং ওয়াক করতে আসা ব্যক্তিরা। একটি ব্যাগ থেকে মানুষের মাথা, অন্য ব্যাগ থেকে কাটা হাতের টুকরো পাওয়া যায়। ২২৪টি দেহের টুকরো উদ্ধার করা হয়। প্রথমদিকে পুলিশ অবশ্য বুঝতে পারেনি দেহের টুকরোগুলি ব্রামলের। পরে পুলিশ তদন্তে নেমে গোটা বিষয়টি জানতে পারে।
জানা যায়, প্রথমদিকে নিজের দোষ কবুল করছিলেন না নিকোলাস। গত শুক্রবার স্ত্রীকে হত্যা করার বিষয়টি স্বীকার করে নেন তিনি। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, স্ত্রীর দেহের টুকরোগুলি নদীতে ভাসিয়ে দিয়ে আসতে বন্ধুকে ৫০ পাউন্ড দিয়েছিল নিকোলাস। ব্রামলের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, ১৬ মাস আগে নিকোলাসের সঙ্গে ব্রামলের বিয়ে হয়েছিল। তারপর থেকে ব্রামলেকে তাঁর নিজের বাড়িতে আসতে দেওয়া হয়নি। নিকোলাসের সঙ্গে ব্রামলের সম্পর্ক খুব একটা ভালো ছিল না। দুজনের মধ্যে সম্পর্কের বিচ্ছেদও হতে যাচ্ছিল। এর মধ্যেই নৃশংস ঘটনাটি ঘটে।