আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডির ভোট আধিকারিক লিয়াকত আলী চাট্টা নির্বাচনের ফলাফলে কারচুপির কথা স্বীকার করেছেন। আর এই কথা স্বীকার করার পরেই কমিশনারকে আটক করে পুলিশ। তাকে আপাতত হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে তাঁকে কোথা থেকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।
নির্বাচনে কারচুপির কথা স্বীকার করে চাট্টা বলেন, ‘আমি এই সমস্ত অন্যায়ের দায় স্বীকার করে নিচ্ছি। এই ঘটনার সাথে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি জড়িত ছিলেন। আমি রাওয়ালপিন্ডি ডিভিশনের মানুষের প্রতি অবিচার করেছি।‘
উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ যাতে ক্ষমতায় না ফিরতে পারে তার জন্য নখদাঁত বের করে ঝাঁপিয়েছিল পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও নির্বাচন কমিশন। যদিও কোনও লাভ হয়নি। যে ২৬৫টি আসনে ভোট হয়েছিল তার মধ্যে ইমরান খানের তেহরিক-ই-ইনসাফ সমর্থিত প্রর্থীরা ৯২টি আসনে জয়ী হয়েছিল। নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ (-এন) ৭৫টি এবং বিলাওয়াল ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টি ৫৪টি আসনে জয়ী হয়। সরকার গঠনের জন্য ম্যাজিক ফিগারে কোনও দলই পৌঁছতে পারেনি। যদিও পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের নির্দেশে জোট বেঁধে সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান মুসলিম লীগ (এন) ও পিপিপি।
সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে জালিয়াতি ও কারচুপির অভিযোগ তুলে গোটা ভোটপ্রক্রিয়া বাতিলের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আলী খান নামে এক নাগরিক। আগামী ২০ শে ফেব্রুয়ারি হভে এই মামলার শুনানি।