নিজস্ব প্রতিনিধিঃ মায়ানমারের কারাবন্দী ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চি অসুস্থ। বাইরের চিকিৎসকদের দিয়ে চিকিৎসার অনুমতি চাওয়া হলে মায়ানমারের সামরিক শাসকেরা তা প্রত্যাখ্যান করে। পরিবর্তে ৭৮ বছর বয়সী সু চি-কে কারাগার বিভাগের ডাক্তার দ্বারা চিকিৎসা করানো হয়।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে সূত্র এক আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থায় জানায়, সু চি-র দাঁতের সমস্যায় মাড়ি ফুলেছে। ব্যথায় ভুগছেন। ঠিকমত খেতে পারছেননা। এছাড়াও শারীরিক আরও সমস্যা রয়েছে। তবুও তাঁকে বাইরের চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা করানো হয়নি।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটি ২০২১ সাল থেকেই অশান্তিতে রয়েছে। সামরিক বাহিনীর দ্বারা সু চি-র নির্বাচিত সরকারের পতন হয়। ১৯টি ফৌজদারি অপরাধের জন্য সু চিকে ২৭ বছরের মেয়াদে আটক রাখা হয়েছে। উস্কানি দেওয়া, নির্বাচনে জালিয়াতি, দুর্নীতি সহ একাধিক অপরাধে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। জুলাই মাসে, তাকে রাজধানী নেপিতাওতে কারাগার থেকে গৃহবন্দী করা হয়েছিল।
জাতীয় ঐক্য সরকারের মুখপাত্র কিয়াও জাও বলেছেন, “আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত অং সান সু চি সহ সকল রাজনৈতিক বন্দীদের স্বাস্থ্যসেবা ও নিরাপত্তার জন্য জান্তাকে চাপ দেওয়া”। সু চি এবং অন্যান্য হাজার হাজার রাজনৈতিক বন্দীদের নিঃশর্ত মুক্তির আহ্বান জানিয়েছে সেদেশের মানুষ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন এবং গ্রেট ব্রিটেন সহ কিছু দেশ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটির সামরিক বাহিনীকে নিষেধাজ্ঞার সাথে লক্ষ্যবস্তু করেছে।