নিজস্ব প্রতিনিধি, ইসলামাবাদ: নিউইয়র্ক সিটিতে প্রভাবশালী ব্যবসায়ী হিসেবেই পরিচিত ছিলেন তিনি। কিন্তু ৯/১১’র হামলার অন্যতম চক্রী হিসেবে ২০০৩ সালে তাইল্যান্ড থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা। ২০০৪ সাল থেকে আটকে রাখা হয় কুখ্যাত কারাগার হিসেবে পরিচিত গুয়াতানামো বে’তে। টানা ১৮ বছর অবশেষে বন্দিদশা ঘুচল পাক নাগরিক সাইফুল্লা পারাচা। শনিবার মুক্তি পেয়ে দেশের মাটিতে পা রেখেছেন তিনি। আর পারাচার দেশে ফেরার খবরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রী বিলাওয়াল জারদারি ভুট্টো।
পাকিস্তানের অন্যতম ধনাঢ্য ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত ছিলেন সাইফুল্লা পারাচা। অসুস্থতার কারণেই ইসলামাবাদ ছেড়ে নিউইয়র্কে বসবাস শুরু করেন। ২০০৩ সালে ব্যবসার কাজে তাইল্যান্ডে থাকাকালীন আচমকাই তাঁকে গ্রেফতার করে মার্কিন গোয়েন্দারা। দাবি করা হয়, ৯/১১’হামলার অন্যতম দুই পরিকল্পনাকারীকে আর্থিকভাবে সাহায্য করেছেন পারাচা। একই অপরাধে সাইফুল্লার ছেলে উজাইর পারাচাকেও গ্রেফতার করা হয়। যদিও আল কায়দার কোনও সদস্যকে তিনি চেনেন না এবং কোনও আর্থিক সাহায্য করেননি বলে দাবি করেন পারাচা। ২০০৫ সালে নিউ ইয়র্কের ফেডারেল আদালত বিনা অপরাধেই তাঁকে ৩০ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন। কুখ্যাত সন্ত্রাসী সংগঠনের যোগসাজশের অভিযোগে কুখ্যাত গুয়ানাতামো বে জেলে পাঠানো হয় পারাচাকে।
গত বছরই মুক্তি পেয়ে দেশে ফিরেছিলেন উজাইর। চলতি বছরের মে মাসে সাইফুল্লাকেও মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় মার্কিন আইন বিভাগ। শেষ পর্যন্ত ওই সিদ্ধান্তের পাঁচ মাস বাদে এদিন কারামুক্ত হয়ে দেশে ফিরেছেন ৭৫ বছর বয়সী সাইফুল্লা। যদিও সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে চাননি।