আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চিন সফরে ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ শেহবাজের বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি। বিদেশমন্ত্রীর দায়িত্বভার গ্রহণের পর এটাই তাঁর প্রথম চিনসফর। চিনে যাওয়ার সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানের রাজনীতিতে শুরু হয়েছে গুঞ্জন। প্রশ্ন উঠছে, টাকা ধার চাইতেই কি চিনে গিয়েছেন বিলাওয়াল?
চিনে পৌঁছে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি সে দেশের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক হয়েছে গুয়াংঝাউ প্রদেশে। সূত্রে পাওয়া খবর উদ্ধৃত করে একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, উভয়ের মধ্যে বেশ কিছু বিষয়ে কথা হয়েছে। কথা হয়েছে বিনিয়োগ নিয়েও।
চিন পৌঁছে পাক বিদেশমন্ত্রী টুইট করেন। নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে তাঁর টুইট, ‘রবিবার সকালে চিনে পৌঁছেছি। এদিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ৭১ বছর পূর্ণ করল। দিনটি নিঃসন্দেহে ঐতিহাসিক। চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের সঙ্গে বৈঠক রয়েছে। বৈঠক করব চিনের অন্যান্য পদস্থকর্তাদের সঙ্গে। ইসলামাবাদ ও বেজিংয়ের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত ও স্থিতিশীল করার লক্ষ্য নিয়েই এ দেশে আসা।’
কিছুদিন আগেই বিলাওয়াল গিয়েছিলেন আমেরিকা। সেখান থেকে ফেরার পর এবার দ্বিতীয় বিদেশ সফরে তিনি চিনে গেলেন। রাজনৈতিকমহলের একাংশের মতে, ভারসাম্য বজায় রাখতেই আমেরিকা থেকে ফিরে চিনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বিলাওয়াল। চিনের সঙ্গে আমেরিকার এখন ঠাণ্ডা লডা়ই চলছে। এই অবস্থায় আমেরিকা কোনও অবস্থায় চটে গেলে পাকিস্তানের ক্ষেত্রে সেটা হীতে বিপরীত হতে পারে। তাই, শ্যাম-কূল দুই রাখতে রবিবার সকালে চিনে পৌঁছে যান বেনজির-পুত্র। সফর দু দিনের। সোমবার বিকেলে তাঁর পাকিস্তান ফেরার কথা।
আরও পড়ুন ভোটে হার অস্ট্রেলিয়ার জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিনসনের