এই মুহূর্তে




পাকিস্তানে কোয়াটাগামী জাফর এক্সপ্রেসে বোমা হামলা, ৬ বগি লাইনচ্যুত, আহত বহু

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ পাকিস্তানে ফের টার্গেট জাফর এক্সপ্রেস। IED বোমা বিস্ফোরণে ট্রেন উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) পাকিস্তানের সিন্ধু-বেলুচিস্তান সীমান্তের কাছে সুলতান কোটে এলাকায় এই হামলার ঘটনাটি ঘটেছে। জানা গিয়েছে, রেললাইনে লাগানো একটি ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইসের শক্তিশালী বিস্ফোরণে গোটা এলাকা কেঁপে ওঠে। বিস্ফোরণটি এতটাই শক্তিশালী ছিল যে, সঙ্গে সঙ্গে ট্রেনের ছয়টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। যার ফলে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে চারপাশে। তবে বড় দুর্ঘটনার থেকে রক্ষা পাওয়া গিয়েছে। হতাহতের খবর না পাওয়া গেলেও বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। হামলার পরপরই আহতদের নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করেছে উদ্ধারকারী দল। এই মূহুর্তে ওই রুটে রেল পরিষেবা সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী এলাকাটি ঘিরে রেখেছে এবং কীভাবে এবং কোথায় বিস্ফোরক পুঁতে রাখা হয়েছিল তা তদন্ত করছে। প্রাথমিক প্রতিবেদনে ধারণা করা হচ্ছে যে আগে থেকে পুঁতে রাখা বোমা দিয়ে হামলাটি চালানো হয়েছে। বোমার আওয়াজে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে জাফর এক্সপ্রেসে এক শক্তিশালী বিস্ফোরণে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। কোয়েটাগামী জাফর এক্সপ্রেসকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। এর আগেও মার্চ মাসে এই ট্রেনটিকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছিল। মার্চ থেকে ক্রমাগত এই ট্রেনটির উপর হামলা চালানো হচ্ছে। বেলুচ বিদ্রোহী গোষ্ঠী, বেলুচ রিপাবলিক গার্ডস, ইতিমধ্যেই এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। এবং তাঁরা দাবি করেছে যে, পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সদস্যরা এই ট্রেনে ভ্রমণ করছিলেন, সেই কারণে এটিটে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। এই বিস্ফোরণের ফলে বেশ কয়েকজন সৈন্য আহত হয়েছেন। ট্রেনের ছয়টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছেন। পাশাপাশি তাঁরা জানান, বেলুচিস্তানের স্বাধীনতা না আসা পর্যন্ত এই ধরনের অভিযান তারা চালিয়ে যাবেন। ইতিমধ্যেই উদ্ধারকারী দল এবং নিরাপত্তা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে। বিস্ফোরণস্থলের কয়েকটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। সাম্প্রতিক মাসগুলিতে কোয়েটা এবং পেশোয়ারের মধ্যে চলাচলকারী জাফর এক্সপ্রেস বারবার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে, যার মধ্যে মার্চ মাসের হামলাটি ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ। গত ১১ মার্চ, বোলান এলাকায় কোয়েটা থেকে পেশোয়ায় যাওয়ার পথে জাফর এক্সপ্রেসকে ছিনতাই করা হয়, যার ফলে ২১ জন যাত্রী এবং চারজন নিরাপত্তা কর্মী নিহত হন।

এরপরে এই অভিযানে ট্রেনে হামলায় জড়িত ৩৩ জন সন্ত্রাসীকে হত্যা করে নিরাপত্তাবাহিনী। ২৪ সেপ্টেম্বর, বেলুচিস্তানের মাস্তুংয়ের স্পিজেন্ড এলাকায় একই ট্রেনে বোমা হামলায় নারী ও শিশুসহ কমপক্ষে এক ডজন মানুষ আহত হন। ১০ অগস্ট, মাস্তুং জেলায় পেশোয়ারগামী জাফর এক্সপ্রেসের ছয়টি বগি লাইনচ্যুত হওয়ায় চারজন আহত হন। ৭ অগস্ট, বেলুচিস্তানের সিবি রেলওয়ে স্টেশনের কাছে একটি দুর্ঘটনা থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পায় জাফর এক্সপ্রেস। যেখানে যাত্রীবাহী ট্রেনটি যাওয়ার ঠিক পরেই ট্র্যাকের কাছে রাখা একটি বোমা বিস্ফোরিত হয়। ৪ আগস্ট, আরেকটি ঘটনায়, বন্দুকধারীরা কোলপুরের কাছে ট্রেনটির পাইলট ইঞ্জিনে পাঁচটি গুলি ছোড়ে। পরে বিচ্ছিন্নতাবাদী বালুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) পরবর্তী হামলার দায় স্বীকার করে। সব হামলাই চালিয়েছেন জাতিগত বালুচ সন্ত্রাসী গোষ্ঠী।বেলুচিস্তান পাকিস্তানের এমন একটি অঞ্চল যেখানে সরকারের বিরুদ্ধে ক্রমাগত বিদ্রোহ চলছে। তবে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উপর বালুচদের আক্রমণ সাধারণ হলেও, জাফর এক্সপ্রেসকে বারবার লক্ষ্যবস্তু করার ফলে যাত্রীদের নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়ছে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

সাহিত্যে নোবেল পেলেন হাঙ্গেরীয় লেখক, চিনে নিন তাঁকে

অভিষেকের প্রচেষ্টায় বাড়ি ফিরছেন ইরাকে আটকে থাকা বাংলার পরিযায়ীরা

আত্মঘাতী বোমা হিসাবে ব্যবহার পাকিস্তানি মেয়েদের, মাসুদের নতুন চালে শিয়রে শমন ভারতে

ভূমিকম্পে কাঁপল ফিলিপাইনের মাটি

‘নমস্কার’ সম্বোধনে সূচনা, ভারতকে বন্ধু বলে মন জয় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশ্যে বোরখা ও নিকাব নিষিদ্ধ করতে বিল আনছে ইতালি

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ