আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সঞ্চালক হিজাব না পরায় সাক্ষাৎকার দিতে এসেও ফিরে গেলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। ইরানের প্রেসিডেন্টের সাক্ষাৎকার নিতে চেয়েছিলেন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন-য়ের বরিষ্ঠ সাংবাদিক ক্রিস্টিয়ানা অ্যামানপোর। সাক্ষাৎকার নেওয়ার কথা ছিল জাতিসঙ্ঘে। প্রেসিডেন্ট রাইসিকে সাক্ষাৎকারের জন্য সময় চাওয়া হলে তিনি সময় দিতে রাজিও হয়ে যান। রেকর্ডিং রুমে গিয়ে দেখেন তাঁর সাক্ষাৎকার নেওয়ার জন্য উল্টোদিকের চেয়ারে বসে থাকা মহিলা সাংবাদিকের মুখ হিজাব দিয়ে ঢাকা নেই।রাগের চোটে স্টুডিয়ো থেকে বেরিয়ে গেলেন প্রেসিডেন্ট রাইসি। তার রাগের কারণ, সিএনএন-য়ের ওই সাংবাদিকের জন্ম ইরানে।
রাইসি যেমন বিরক্ত, বিরক্ত সিএনএন-য়ের ওই সাংবাদিকও। তিনি ওই ঘটনার পর একাধিক টুইট করেন। সেই সব টুইটের মধ্যে একটি টুইট এই সাক্ষাৎকার নেওয়ার জন্য সে এবং তাঁর ইউনিট গত কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রস্তুতি নিয়েছিল। রাখা হয়েছিল প্রেসিডেন্টের ভাষণের ইংরেজিতে অনুবাদের যন্ত্র। তৈরি ছিল ক্যামেরা, লাইট। আমি তৈরি ছিলাম। তৈরি ছিল গোটা সিএনএন। প্রেসিডেন্ট সাক্ষাৎকারের জন্য সময় দিয়েছিলেন।
বরিষ্ঠ সাংবাদিক আরও বলেন, সাক্ষাৎকার নেওয়ার জন্য আমরা সবাই যখন তৈরি, সেই সময় ইউনিটের এক কর্মী আমায় এসে জানান, প্রেসিডেন্ট রাইসি তাঁকে বলেছেন, আমি যেন হিজাব পরি। কারণ, এটা পবিত্র রমজান মাস। আমি অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে জানাই, এটা নিউ ইয়র্ক। তাই, হিজাব পরা বাধ্যতামূলক নয়। আর এর আগেই তিনি ইরানের বেশ কয়েকজন প্রেসিডেন্টের সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন। তারা আপত্তি তোলেনি। রাইসি সেই সব কথা শোনার পরেও সিদ্ধান্ত অবিচল থাকেন।