আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ কী এবার পরমাণু লড়াইয়ের দিকে এগোচ্ছে? কেননা, রবিবার দেশের পরমাণু অস্ত্র বহনকারী বাহিনীকে (Nuclear Dettrent Force) সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। শুধু পরমাণু অস্ত্র বহনকারী বাহিনীকে (Nuclear Dettrent Force) নয়, সব ধরণের যুদ্ধে পারদর্শী স্ট্র্যাটেজিক ফোর্সকেও প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। রুশ প্রেসিডেন্টের এমন নির্দেশের পরেই নড়েচড়ে বসেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আগামিকাল সোমবারই বিশেষ বৈঠকে বসছে মার্কিন পরমাণু কর্মসূচি নজরদারি সংস্থার শীর্ষ আধিকারিকরা।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলির প্রতিবেদন অনুযায়ী, রবিবার ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান পর্যালোচনার জন্য উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসেছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট। বৈঠকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই শোইগুর পাশাপাশি সেনাপ্রধান ভ্যালেরি গেরাসিমভও উপস্থিত ছিলেন। ওই বৈঠকে ব্রিটেন, ফ্রান্স সহ পশ্চিমী দেশগুলি যেভাবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে একের পর এক কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে চলেছে তার মোকাবিলা কীভাবে করা হবে, তা নিয়ে আলোচনা হয়।
পাশাপাশি পুতিন আশঙ্কা প্রকাশ করেন, রাশিয়ার শক্তিতে ভীত হয়ে পড়া পশ্চিমী দেশগুলি ইউক্রেনকে সাহায্যের অছিলায় রাশিয়ার উপরে আক্রমণ চালাতে পারে। এমনকী পরমাণু যুদ্ধও শুরু করতে পারে। তাই দেশের পরমাণু অস্ত্র বহনকারী বাহিনীকে সব ধরনের পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্য তৈরি থাকার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। রাশিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা আরআইএ নভোস্তি দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ‘রাশিয়া ও তার মিত্রদের বিরুদ্ধে আগ্রাসন রোধ করার পাশাপাশি আক্রমণকারীকে পরাস্ত করার জন্য কৌশল রচনা করা হয়েছে। ওই যুদ্ধে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারও করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।’
প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে চলতি সঙ্ঘাত অবিলম্বে না থামানো গেলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ অনিবার্য। শুধু তাই নয়, পরমাণু যুদ্ধও শুরু হতে পারে। কেননা, রাশিয়ার পাশাপাশি চিনকে সবক শেখাতে একজোট হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন সহ বিশ্বজুড়ে দাদাগিরি চালিয়ে যাওয়া পশ্চিমী দেশগুলি। আর সেই সবক শেখাতে গেলে পারমাণবিক অস্ত্রই বড় হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে।
অন্যদিকে, রাশিয়া-ইউক্রেন সঙ্ঘাত থামাতে মধ্যস্ততাকারীর ভূমিকা পালনের জন্য এগিয়ে এসেছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফাতালি বেনেট। এদিন সাংবাদিকদের তিনি জানান, রাশিয়া রাজি থাকলে তিনি মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত।