নিজস্ব প্রতিনিধি, ইসলামাবাদ: ক্ষমতা জাহির করতে গিয়ে মুখে চুনকালি মাখাল অবৈধভাবে ক্ষমতায় বসা শাহবাজ শরিফ প্রশাসন। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ঘনিষ্ঠ তথা প্রাক্তন মানবাধিকার বিষয়ক মন্ত্রী শিরিন মাজাহারির গ্রেফতারের ঘটনায় শনিবার মধ্যরাতে বড়সড় ধাক্কা খেল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রীতদাসে পরিণত হওয়া সরকার। নজিরবিহীনভাবেই মধ্যরাতে আদালত বসিয়ে প্রাক্তন মন্ত্রীকে মুক্তির নির্দেশ দিলেন ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি আতহার মিনাল্লাহ। শুধু তাই নয়, অবৈধ গ্রেফতার নিয়ে বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠনের জন্যও পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিলেন। ক্ষমতায় আসার মাস খানেকের মধ্যেই এমন ধাক্কা খেয়ে কার্যত দিশেহারা হয়ে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।
শনিবার দুপুরেই ৫০ বছরের পুরনো এক মামলায় আচমকাই গ্রেফতার করা হয় কুখ্যাত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কট্টর সমালোচক হিসেবে পরিচিত প্রাক্তন মানবাধিকার মন্ত্রী শিরিন মাজাহারিকে। স্বচ্ছ ভাবমূর্তির মানুষ হিসেবে পরিচিত ৫৬ বছর বয়সী প্রাক্তন মানবাধিকার মন্ত্রীকে গ্রেফতারের সময়ে মারধরও করেছে পুলিশ। ওই ঘটনার কথা জানাজানি হতেই গোটা দেশে নিন্দার ঝড় ওঠে। দলমত নির্বিশেষে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা-নেত্রীরা মাজাহারির গ্রেফতারের বিরুদ্ধে নিন্দায় সরব হন। অবশ্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন মন্ত্রীকে গ্রেফতারকে সমর্থন জানিয়েছিলেন শাসক জোটের অন্যতম নেত্রী মরিয়াম নওয়াজ।
মায়ের গ্রেফতারির প্রতিবাদে ইসলামাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মাজাহারির কন্যা ইমান জয়নাব। আদালতের কার্য সময় শেষ হওয়ার পরে ওই আবেদন জানালেও বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে মধ্যরাতে ফের আদালত বসানোর সিদ্ধান্ত নেন প্রধান বিচারপতি আতহার মিনাল্লাহ। স্থানীয় সময় রাত সাড়ে এগারোটায় ধৃত শিরিন মাজাহারিকে আদালতে হাজির করার জন্য স্বরাষ্ট্র সচিবকে নির্দেশ দেন।
ইসলামাবাদের হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির নির্দেশের পরেই মুখ রক্ষা করতে প্রাক্তন মন্ত্রীকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হামজা শাহবাজ। যদিও সেই নির্দেশ লোকদেখানো বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষরা। মধ্যরাতে ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির সামনে হাজির করানো হয় শিরিন মাজাহারিকে। গ্রেফতারের সময়ে পুলিশ কীভাবে তাঁর সঙ্গে %