নিজস্ব প্রতিনিধি, কলম্বো: শ্রীলঙ্কায় গৃহযুদ্ধ থামার কোনও ইঙ্গিতই নেই। প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে দেশ ছেড়ে পালানোর পরে বুধবার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বভার নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহে (Ranil Wickremsinghe)। নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের জন্য সংসদের অধ্যক্ষ মাহিন্দা আবেবর্ধনে (Mahinda Abeywardhena) চিঠিও পাঠিয়েছেন তিনি। কিন্তু অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে রনিল বিক্রমসিংহকে মানতে নারাজ অধিকাংশ বিরোধী দল। অবিলম্বে অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্টের পদ থেকে রনিলকে সরানোর জন্য সংসদের অধ্যক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন বিরোধী দলের নেতারা।
দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে এদিন সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছিলেন সংসদের অধ্যক্ষ মাহিন্দা আবেবর্ধনে। ওই বৈঠকে অধিকাংশ বিরোধী দলের নেতারাই ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, ‘অসাংবিধানিকভাবে নিজেকে অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করেছেন রনিল বিক্রমসিংহে। দেশে শান্তি ফেরাতে অবিলম্বে তাঁকে ইস্তফা দিতে হবে।’ ২০ জুলাই পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত সংসদের অধ্যক্ষকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার অনুরোধ জানান তাঁরা। যদিও এ বিষয়ে জাতীয় সংসদের অধ্যক্ষ কোনও মন্তব্য করেননি। কিন্তু রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, যেভাবে রনিল বিক্রমসিংহকে (Ranil Wickremsinghe) নিয়েও ক্ষোভ দানা বাঁধছে, তাতে অনতিবিলম্বে দ্বীপরাষ্ট্রটিতে রাজনৈতিক অচলাবস্থা দূর হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
অন্যদিকে, বিক্ষোভকারীদের নিজেদের হাতে আইন না তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কার সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক (Chief of Defence Staff ) শাভেন্দ্র সিলভা (Shavendra Silva)। এদিন তিন বাহিনীর প্রধান এবং পুলিশের আইজিপিকে পাশে নিয়ে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে বলেন, ‘হিংসাত্মক আন্দোলন থেকে বিরত থাকার জন্য সাধারণ মানুষকে অনুরোধ জানাচ্ছি। সরকারি ভবন এবং সম্পত্তি ভাঙচুর না করার অনুরোধ করা হচ্ছে।’