নিজস্ব প্রতিনিধি, কলম্বো: রাজনৈতিক অচলাবস্থা দূর করতে ইস্তফা দিচ্ছেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী (Sri Lankan Prime Minister) রনিল বিক্রমসিংহে (Ranil Wickramsinghe) । শনিবার বিকালে বিভিন্ন দলের নেতাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে তিনি জানিয়েছেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সর্বদলীয় সরকার গঠন করার পথ প্রশস্ত করতে পদত্যাগ করতে রাজি আছেন। পাশাপাশি সংসদের অধ্যক্ষের ডাকা জরুরি বৈঠকে বিভিন্ন দলের শীর্ষ নেতারা জানিয়ে দিয়েছেন, সাধারণ মানুষের বিক্ষোভ যে পর্যায়ে পৌঁছেছে, তাতে প্রেসিডেন্ট (President) ও প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister) দুজনেরই পদত্যাগ করা উচিত। পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট হিসেবে অধ্যক্ষকে দায়িত্ব নেওয়ারও অনুরোধ জানিয়েছেন তাঁরা।
তিন মাস বাদে এদিন ফের প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের ইস্তফার দাবিতে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বো। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের বাধা অতিক্রম করেই প্রেসিডেন্ট ভবনের দখল নেয়। যদিও শুক্রবার রাতেই সরকারি বাসভবন ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন রাজাপক্ষে। যেভাবে সাধারন মানুষের ক্ষোভ তুঙ্গে উঠেছে, তাতে কীভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে তা নিয়ে বিভিন্ন দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন শ্রীলঙ্কা সংসদের অধ্যক্ষ মাহিন্দা ইয়াপা আবেইওয়ারধেনা (Mahinda Yapa Abeywardena)। ওই বৈঠকেই সব দলের নেতারা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, দেশের সাধারণ মানুষের যেহেতু বর্তমান সরকারের উপরে কোনও আস্থা নেই, তাই প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর উচিত পদত্যাগ করা। আর সংবিধান মেনে অস্থায়ী প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিন অধ্যক্ষ।
অধ্যক্ষের পাশাপাশি এদিন রাজনৈতিক অচলাবস্থা দূর করতে কী করণীয় তা নিয়ে বিভিন্ন দলের নেতাদের সঙ্গে আলাদা বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহে। ওই বৈঠকেই প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দেন, যদি সব রাজনৈতিক দল মিলে জাতীয় সরকার গঠনে রাজি হয়, তাহলে ইস্তফা দিতে প্রস্তুত তিনি।